ক্রমশ অপরাধমূলক কাজের শীর্ষে স্থান নিচ্ছে যোগীরাজ্য। শুক্রবার উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বান্দা জেলার চামরাহা (Chamraha) গ্রামে গ্রামের শেষ প্রান্ত থেকে আনুমানিক ৩০-৩৫ এর এক মহিলার মুণ্ডু কাটা দেহ উদ্ধার হয়। পরনে পোশাক ছিল না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, নৃশংস ভাবে তাকে হত্যা করার নজির পাওয়া গিয়েছে। হাতের চারটি আঙুলও কাটা ছিল। কিছুটা দূরেই রাখা ছিল কাটা মুণ্ডু। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম মায়া দেবী।
আরও পড়ুন-ওরা ভয় পেয়েছে
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ পরিবারকেই সন্দেহ করে। ওই মহিলার স্বামী রামকুমার, তাঁর দুই ছেলে প্রকাশ ও ব্রিজেশ ও ভাইফো উদয়ভানকে এই ঘটনায় সন্দেহ করা হয়। প্রথমে স্বীকার না করলেও পুলিশি জেরার মুখে তারা অপরাধ স্বীকার করে নেয়। প্রসঙ্গত, গ্রামের শেষ প্রান্তে মুণ্ডুহীন এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ দেখা যায়। গোটা গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশে খবর দেওয়া হলে, তারা এসে দেহটি উদ্ধার করেন। স্বামী, ছেলেদের জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বয়ান না মেলাতেই সন্দেহ বাড়ার ফলে পুলিশ চাপ দিতে শুরু করে এবং বেরিয়ে আসে আসল সত্যিটা। প্রকাশ্যে আসে রহস্য, ওই মহিলার স্বামী ও দুই সৎ ছেলেই খুন করেছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন-মাতৃত্ব অবাঞ্ছিত নয়, হোক গর্বের
রামকুমার এই বিষয়ে জানান, মায়া দেবী তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিল। তিনি জানতে পারেন যে সৎ ছেলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে স্ত্রীর। বেশ কয়েকবার অশান্তিও হয়। কিছুদিন পর জানতে পারেন আরেক ছেলের সঙ্গেও অবৈধ সম্পর্ক করার চেষ্টা করছেন মহিলা। এরপরই বাবা ও দুই ছেলে মিলে খুনের পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনায় মদত দেয় তার ভাইপো। মহিলাকে একটি গাড়ি করে চামরাহা গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গলা টিপে খুন করে কুঠার দিয়ে মাথা কেটে দেওয়া হয়। সাথে হাতের চারটি আঙুলও কেটে নেওয়া হয়। অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনে ব্য়বহৃত গাড়ি ও কুঠারটিও উদ্ধার করা হয়েছে।