একদিন কিনা কমলা নাপিত লাঙল নিয়ে কাঁধে
ক্ষেতে গেছল চাষ করতে। আর কে লাঙল ফাঁদে!
বাঘ এসে বললে তখন, ‘তুই না বেটা চাঁই?
কোথা যাবি কমলা নাপিত, তােরে ধরে খাই!
নাপিত বললে, ‘ওরে বাঘ! তুই যে ভারি বােকা!
ভরবে না পেট এখন খেলে, দেখছিস আমি রােগা।
–উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।
আজ ১২ মে। শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর (UpendraKishore Ray Chowdhury) জন্মদিবস। সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পিতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। তাঁর জন্মদিবসে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC MP Abhishek Banerjee)।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (UpendraKishore Ray Chowdhury) বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার সমূয়া গ্রামের বনেদি রায় পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ময়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বৃত্তি পেয়ে পাশ করেছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হলেন। কলকাতায় এসে যোগাযোগ হল জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে। সেখানকার ও সঙ্গীতচর্চায় অনুপ্রাণিত হলেন তিনি। ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘বালক’, শিবনাথ শাস্ত্রী সম্পাদিত ‘মুকুল’ প্রভৃতি ছোটদের কাগজ তাঁকে উদ্বুদ্ধ করল শিশুসাহিত্য সৃষ্টিতে। নতুন জন্ম নিলেন ছোটদের প্রাণের ও মনের লেখক অদ্বিতীয় উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী! এছাড়াও তাঁকে বলা হতো বাংলা ছাপাখানার অগ্রপথিক।
আরও পড়ুন: উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য মুখ্যমন্ত্রীর
১৯১৩ সালের এপ্রিল থেকে প্রকাশিত হতে লাগল শিশুসাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য পত্রিকা ‘সন্দেশ’। সম্পাদক, প্রকাশক, মুদ্রক, লেখক ও চিত্রকর স্বয়ং উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। তিনি ‘সন্দেশ’ পত্রিকা ঘিরে তৈরি করলেন ছোটদের নতুন ধারার নতুন লেখক-গোষ্ঠী।