প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না সাংসদ কোটা। অর্থাৎ এতদিন সাংসদ কোটায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির যে সুযোগ ছিল তা উঠে যাচ্ছে। নতুন এই নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে সাংসদ কোটায় ৭৮৮০ জন পড়ুয়া ভর্তি হতে পারে। এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার মোদি।
আরও পড়ুন-উন্নয়নের বাজেট
চলতি মাসের ১২ তারিখে এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে যে বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে আপাতত তা স্থগিত রাখা হচ্ছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ১৫-১৬ ধরনের কোটা আছে। আপাতত কোটায় ভর্তির পুরো ব্যবস্থাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে শিক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল। কোটায় ভর্তির ব্যবস্থা স্থগিত রাখার নির্দেশে প্রশ্ন উঠেছিল, শেষ পর্যন্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থা কি তুলে নেওয়া হবে? শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যি হল। অর্থাৎ কেন্দ্রের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে আর সাংসদ কোটায় ভর্তির সুযোগ থাকছে না। উল্লেখ্য, এতদিনের নিয়মে একজন সাংসদ প্রতিবছর প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১০ জন পড়ুয়াকে কোটায় ভর্তি করতে পারতেন।
আরও পড়ুন-এগিয়ে থেকেও জয় হাতছাড়া মহামেডানের
বহুদিন থেকেই এই কোটা ব্যবস্থা নিয়ে সাংসদদের মধ্যে ভিন্ন মত ছিল। বেশ কিছু সাংসদ চাইছিলেন কোটা ব্যবস্থার অবলুপ্তি ঘটানো হোক। আবার সাংসদদের একাংশ চাইছিলেন কোটায় ভর্তির সংখ্যা বাড়ানো হোক। তবে সকলের সব আর্জি খতিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত মোদি সরকার সাংসদদের কোটা ব্যবস্থার অবসান ঘটাল। তবে শুধু সাংসদদের কোটার অবলুপ্তি ঘটল তা নয়, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আরও যে সমস্ত জায়গায় সংরক্ষণের সুযোগ ছিল সেগুলিও তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মোদি সরকার। তবে সিআরপিএফ, বিএসএফ, সিআইএসএফ, এসএসবি, অসম রাইফেলস, এনডিআরএফ কর্মীদের সন্তানরা সংরক্ষণের সুযোগ পাবেন।