কেপটাউন, ২ জানুয়ারি : সেঞ্চুরিয়নে লজ্জার আত্মসমর্পণ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে ০-১ পিছিয়ে পড়েছে ভারত। বুধবার থেকে কেপটাউনে শুরু হচ্ছে সিরিজের শেষ টেস্ট। সিরিজ ড্র করে সম্মান বাঁচানোর একটা সুযোগ রয়েছে রোহিত শর্মাদের সামনে।
প্রথম টেস্টে কেএল রাহুল ও বিরাট কোহলি ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের সামনে কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। নিউল্যান্ডসের বাইশ গজে সিরিজ রক্ষার লড়াইয়ে অগ্নিপরীক্ষা ভারতীয় ব্যাটারদের। এখানেও দলের বড় ভরসা সেই বিরাটই। তার উপর কেপটাউনে কোনও টেস্ট জিততে পারেনি ভারত। এখনও পর্যন্ত এখানে ছ’টি টেস্ট খেলে চারটিতেই হেরেছে তারা। দু’টি টেস্ট ড্র হয়েছে। পরিসংখ্যান বদলানোর পরীক্ষাও বিরাটদের কাছে।
আরও পড়ুন-জাতীয় মিটে বাধা কুস্তি বিতর্ক চলছেই
দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ-হাতি পেসার নান্দ্রে বার্গার, মার্কো জানসেনকে সামলানোর জন্য নেটে বিশেষ মহড়াও সেরেছেন বিরাট, শুভমন গিলরা। সেঞ্চুরিয়নে বিধ্বংসী কাগিসো রাবাডার পাশে অভিষেক টেস্টে সাত উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন বার্গার। স্থানীয় এক বাঁ-হাতি পেসারকে নেটে খেলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। মরণ-বাঁচন ম্যাচের আগে নেটে বিরাট এতটাই ফোকাসড ছিলেন যে, প্রস্তুতিতে কোনও ব্যাঘাত যাতে না ঘটে, নেটের সোজাসুজি থাকা টিভি ক্যামেরাম্যানদের সরে যেতে অনুরোধ করেন। দলের থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞও নেটে বাঁ-হাতে বল ছুঁড়ে প্রস্তুতিতে সাহায্য করেন বিরাটকে। ভারতীয় ব্যাটাররা প্রত্যেকে ২০ মিনিট করে নেটে ব্যাট করেন। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজদের বলা হয়, বিশেষ একটি লেংথে বল করতে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও উইকেটের একটি বিশেষ জায়গায় বল রেখে যান।
আরও পড়ুন-মুড়িগঙ্গায় নতুন চর, ড্রেজার এল ফরাক্কা থেকে
ইতিহাস বলছে, কেপটাউনে স্পিনাররাও সুবিধা পায়। তবে নিউল্যান্ডসের উইকেট অনেকটা সেঞ্চুরিয়নের মতোই রাখা হচ্ছে। পিচে কিছুটা ঘাস থাকছে। কিন্তু খেলা যত গড়াবে, চরিত্রগতভাবে পেসারদের পাশাপাশি এখানে স্পিনাররাও ফায়দা তুলতে পারে। ভারতীয় দলের টিম কম্বিনেশন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। একটা ব্যাপার কার্যত নিশ্চিত, স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা সম্পূর্ণ ফিট থাকলে অশ্বিনের জায়গায় খেলবেন। প্রথম টেস্টে খুব বেশি বোলিংয়ের সুযোগ পাননি তিনি। আর সেঞ্চুরিয়নে অভিষেক টেস্টে চূড়ান্ত ব্যর্থ ডান হাতি পেসার প্রসিধ কৃষ্ণের পরিবর্তে খেলতে পারেন বাংলার মুকেশ কুমার ও মধ্যপ্রদেশের আবেশ খানের মধ্যে একজন। পাল্লা ভারী অবশ্য মুকেশের দিকেই। তবে ক্রিসমাসের সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নিয়ে নিজের দাবি জোরাল করেছেন আবেশও। সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি বলেছেন, ‘‘প্রথম একাদশে খুব বেশি পরিবর্তন করার দরকার নেই। জাদেজা ফিট থাকলে অশ্বিনের জায়গায় তারই খেলা উচিত। পেস বিভাগে আমরা হয়তো মুকেশ কুমারকেই খেলতে দেখব প্রসিধের জায়গায়। প্রথম টেস্টে বুমরা অপর প্রান্ত থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। সিরাজ, মুকেশদের দায়িত্ব নিতে হবে।’’ এদিকে ডিন এলগারের বিদায়ী ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরতে মরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা।