আমেদাবাদ, ২৫ মে : মুম্বইয়ের সঙ্গে মোমেন্টাম। গুজরাটের পাশে হোম অ্যাডভান্টেজ। শুক্রবার মোতেরায়
এই দু’দল কোয়ালিফায়ার ২-এ মুখোমুখি হওয়ার আগে এটাই একনজরে বাস্তব পরিস্থিতি।
প্রথম সাত ম্যাচে হারের পর হার! তারপর হুড়মুড়িয়ে দৌড়। এই দৌড়টাই মহাবিপজ্জনক মুম্বইয়ের (Mumbai- Gujarat) ক্ষেত্রে! আগেও দেখা গিয়েছে। মুম্বই একবার জিততে শুরু করলে থামে শুধু ট্রফি জিতেই। এটাও মনে রাখতে হবে আগের আইপিএলে তারা শেষ করেছিল সবার শেষে। রোহিত শর্মা চিপকে লখনউয়ের বাধা টপকে সেটা সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন।
গুজরাট টাইটান্স (Mumbai- Gujarat Titans) ’২৩-এর আইপিএলে সবথেকে ধারাবাহিক দল। সবার আগে প্লে অফে উঠে এসেছে। কিন্তু কোয়ালিফায়ার ১-এ সিএসকের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। হারের পর হার্দিক পান্ডিয়া ‘আমাদের আর একটা ম্যাচ আছে’ বলে সমর্থকদের ভরসা দিয়েছেন। এখন সেই ভরসারই বাস্তব প্রতিফলন দেখাতে হবে ঘরের মাঠে এক লাখ মানুষের সামনে।
মুম্বইয়ের আকাশ মাধোয়ালকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে। হওয়ারই কথা। পাঁচ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে লখনউকে হারিয়েছেন। অনিল কুম্বলের আইপিএল সেরা বোলিংয়ের এতদিনকার কীর্তি ছুঁয়েছেন। রুরকির ২৯ বছরের তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ঋষভ পন্থের প্রতিবেশী। মুম্বইয়ের সাপোর্ট বোলার থেকে স্ট্রাইক বোলারের ভূমিকা নিয়েছেন। যাঁর বোলিং দেখে মুগ্ধ বুমরা বলেছেন, ‘‘কী অসাধারণ বোলিং স্পেল!” তাঁকে পাঁচ উইকেটের ক্লাবে স্বাগত জানিয়েছেন কুম্বলেও।
লখনউ ম্যাচে রোহিতকে নিয়ে মুম্বইয়ের পুরো টপ অর্ডার কাজ করেনি। গ্রিন আর সূর্য কিছুটা খেলেছেন। পরে তিলক আর নেহাল তাঁদের মতো সাহায্য করেছেন। তাতে চেন্নাইয়ের স্লো টার্নারে অনায়াস জয়ের রান উঠে এসেছিল। কিন্তু আমেদাবাদে পাটা উইকেটে বড় রান দরকার হবে। বোলারদেরও কাঠখড় পোড়াতে হবে।
গুজরাট গতবারের চ্যাম্পিয়ন।
দলটার হৃদস্পন্দন হলেন হার্দিক।
কিন্তু অধিনায়কের ব্যাটে রান নেই।
এখন পুরো ব্যাটিংই দাঁড়িয়েছে
শুভমন-কেন্দ্রিক। নাহলে মিলার, শনাকা, তেওতিয়া, বিজয় শঙ্কর কেউ রান পাচ্ছেন না। বোলিংয়ে শামি, মোহিত, নুর ভাল করলেও রশিদ খান আগের ম্যাজিক দেখাতে পারছেন না। আজ মুম্বই ব্যাটিংকে থামাতে হলে রশিদকে দায়িত্ব নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আমূলের আগ্রাসন রুখতে শাহ’র হস্তক্ষেপ দাবি স্ট্যালিনের