প্রতিবেদন : কয়েকদিন একটানা তল্লাশি চালানোর পর শনিবার সকালে আফতাবের দিল্লির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল শ্রদ্ধাকে (Shraddha Walkar Case) খুনের ধারালো অস্ত্র। তবে এখনও মৃত তরুণীর কাটা মাথার সন্ধান মেলেনি। ১৮ অক্টোবর নিজের ফ্ল্যাটেই শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব। ওইদিন ছতরপুর এলাকার সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে, রাতে এক যুবক কাঁধে ব্যাগ নিয়ে পথ হাঁটছে। তবে ওই যুবকের মুখটি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের অনুমান ওই যুবক আফতাব। তার ব্যাগে ছিল শ্রদ্ধার দেহাংশ। ওই যুবক কে এবং মাঝরাতে ব্যাগ নিয়ে সে কোথায় গিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-১৪০ জন বন্দি এইচআইভি পজিটিভ
পাশাপাশি পুলিশ আফতাবের গুরুগ্রামের অফিস থেকেও এদিন বেশ কিছু কালো প্লাস্টিকের প্যাকেট উদ্ধার করেছে। পুলিশের অনুমান, ওই প্যাকেটে মুড়েই আফতাব তার প্রেমিকার দেহের টুকরো বিভিন্ন জায়গায় ফেলেছিল। মেহরৌলির কাছেই একটি দোকান থেকে ওই ধারালো অস্ত্র কেনা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar Case) দেহের সব অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যে সমস্ত অংশ পাওয়া গিয়েছে তা শ্রদ্ধার কি না তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট আসতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। খুনের অস্ত্র মিললেও এখনও মেলেনি শ্রদ্ধার রক্তমাখা পোশাক। যে পোশাক পরে আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল তার সন্ধানও মেলেনি। তবে শ্রদ্ধাকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি মেলায় আফতাবকে দোষী সাব্যস্ত করা পুলিশের পক্ষে কিছুটা হলেও সহজ হবে। পাশাপাশি মেহরৌলির জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে এদিন আরও তিনটি হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই তিনটি হাড়ের মধ্যে একটি ফিমার বোন। বাকি দুটি হল রেডিয়াস ও আলনা। হাড়গুলি ইতিমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এক তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বলেছেন, দেখে মনে হচ্ছে অত্যন্ত দক্ষ হাতেই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করা হয়েছিল। কারণ এরকম এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরেও আফতাব সম্পূর্ণ নির্বিকার। সে পুলিশকে ক্রমাগত ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে চলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার দেহের অংশগুলি খুঁজে পেতে দিল্লি ও যে সমস্ত জায়গায় তারা গিয়েছিল সেই সমস্ত জায়গায় আফতাবকে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।