প্রতিবেদন : সেদিন যারা খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল, আজ তাদের নিয়েই ঘুরছে বাংলার গদ্দার। বাংলার মাটিতে তার স্থান নেই, তার স্থান নেই নন্দীগ্রামেও। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনে কোনও অধিকার নেই সেই গদ্দারের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে নিজেদের রক্ত দিয়ে জমি অধিকার রক্ষা লড়াইয়ের কথা লিখেছে নন্দীগ্রামের মানুষ। মা-মাটি-মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই ফের নন্দীগ্রামের মাটিতে গণতন্ত্রের বিপ্লব ঘটবে। নন্দীগ্রামের মাটিতে ঠাঁই হবে না গদ্দারের।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী আজ যাচ্ছেন গঙ্গাসাগরে
রবিবার নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ভাঙাবেড়ার শহিদ স্মরণসভা থেকে এই ভাষাতেই গর্জে উঠলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শহিদ তর্পণের মঞ্চে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে গণতন্ত্রে ফের বিপ্লব আনার কথা বলেন তৃণমূল মুখপাত্র। তাঁর কথায়, নন্দীগ্রামে জমি অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের ১৭ বছর পরেও শীতের সকালে এত মানুষের সমাবেশ প্রমাণ করে দিচ্ছে ক্ষত কতটা গভীর ছিল এবং কতটা দৃঢ় ছিল রাজনৈতিক বদলার সেই শপথ। এই প্রজন্মের কাছেও ২০০৭ সালের সেই ভয়াবহ সন্ত্রাসের প্রতিটা ঘটনাক্রম পরিচিত। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জমি অধিকার আন্দোলন কাকে বলে, তা গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছে নন্দীগ্রাম।
শহিদ স্মরণসভার আগের রাতে তাঁর নামে গো ব্যাক পোস্টার পড়েছিল এলাকায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, যতবার পোস্টার দেবে ততবার এখানে ছুটে আসব। বলব, গদ্দার অধিকারী একটা চোর, জালিয়াত, মিরজাফর, বিভীষণ, ডাকাত, রাজনৈতিক বেজন্মা। গদ্দার যাঁদের চোর বলছে, তাঁদের ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা যায়নি। আমি এখনও মামলা লড়ছি আর তৃণমূলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, তোমার মতো মেরুদণ্ড বিক্রি করে অমিত শাহের জুতো চাটতে যাইনি। তিনি এদিন বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিকেও তীব্র ধিক্কার জানান। তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, যত বড় বড় কথাই শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপি নেতারা বলুন না কেন, নিজেদের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন বাড়াতে পারলে নন্দীগ্রামে আবার গণতন্ত্রের বিপ্লব ঘটবে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে ভোট পড়ল, ৪০%, এগিয়ে শাসক দলই
বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র আগামী দিনে নন্দীগ্রামকে আরও একজোট হয়ে এগিয়ে চলার বার্তা দেন। মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের ধারাকে বয়ে নিয়ে চলেছেন তাতে সাধারণ মানুষ তাঁর পাশে আছেন। এদিকে, পায়ের তলার জমি সরেছে অধিকারী পরিবারের। তাই প্রতিহিংসার রাজনীতি, অপপ্রচার আর কুৎসাকে হাতিয়ার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি আর রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করে চলেছেন গদ্দাররা। নন্দীগ্রামের মানুষ তার জবাব দিতে তৈরি।