সংবাদদাতা, কাটোয়া : পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট আর নদিয়ার নবদ্বীপের মধ্যে বহমান মুড়িগঙ্গা নদী দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মজে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবিমতো এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ নদীসংস্কার এবং নদীর দু’পাড়ের সৌন্দর্যায়নের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে প্রকল্প তৈরি করে পাঠান। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করে রাজ্যের সেচ ও জলপথ দফতর এই কাজের প্রথম ধাপের জন্য ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৭৭ টাকা মঞ্জুর করেছে।
আরও পড়ুন-সিডনিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিপর্যয়
দাবি মঞ্জুর হওয়ায় খুশি স্বপনবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিভাগীয় মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককেও অভিনন্দন এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করায়। এর ফলে নদী বাঁচবে। নদীতীরের মানুষজনও স্বস্তি পাবেন।’’ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবদ্বীপে এসেছিলেন সভা করতে। সেই সময় তিনি মুড়িগঙ্গা সংস্কারের প্রসঙ্গ তোলায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করতে বলেন। এরপরই স্বপনবাবু আবেদন জানান সংশ্লিষ্ট দফতরে। এর আগে পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে ১০০ দিনের কাজে সাড়ে ৭ কিমি দীর্ঘ মুড়িগঙ্গার বেশ খানিকটা এলাকার সংস্কার হয়েছে। কিন্তু তারপর ধামাচাপা পড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন
পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক মুড়িগঙ্গা সংস্কারের ফাইলটি ঘেঁটে বের করে জমা দেন। মজে যাওয়া ৭ কিমি দীর্ঘ নদী মুড়িগঙ্গা পূর্বস্থলী ১ ব্লকের দোলগোবিন্দপুর থেকে শুরু হয়ে সমুদ্রগড়ের কাছে জালুইডাঙার ভাগীরথীতে মিশেছে। জলধারাটি মজে আবর্জনাপূর্ণ হওয়ায় বেশি বৃষ্টি হলে দু’কূল ছাপিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সংস্কার হলে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ার ফলে বন্যার আশঙ্কা দূর হবে। এলাকাটি আর্সেনিকপ্রবণ হওয়ায় মুড়িগঙ্গার জল শোধন করে জল সরবরাহও করা যাবে। স্বপনবাবু বললেন, ‘‘এটাই গঙ্গার আদি খাত। সংস্কার হলে এলাকার ভোল বদলে যাবে। পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। নদীর দুই পাড়ে রাস্তা, আলোর ব্যবস্থা-সহ সৌন্দর্যায়ন ও নৌকাবিহারের পরিকল্পনাও রয়েছে। সেইসঙ্গে সেচ ব্যবস্থা, মাছচাষ ও হাঁসপালনের ব্যবস্থাও থাকবে। ফলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।’’