কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর : মাত্র তিন মাসে মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় ৫০০ পড়ুয়া স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পেয়েছে। তারা পড়াশোনার জন্য ঋণও পেয়ে গিয়েছে। আরও ১৬০০ পড়ুয়া কয়েকদিনের মধ্যেই কার্ড পেয়ে যাবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক সিরাজ দানেশ্বর জানালেন, পড়ুয়াদের যাতে ঋণ পেতে সমস্যা না হয়, তার জন্য একাধিকবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আরও অনেকেই ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছে। আবেদনপত্র ঠিক থাকলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করার পর সেগুলিও অনুমোদন করা হবে।
আরও পড়ুন-সুপার স্পেশালিটি পাবে শান্তিপুর
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দু দফায় শিবির করে পড়ুয়াদের কার্ড দেওয়া হয়েছিল। আগামী দিনেও এভাবে কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ড থেকে পড়ুয়ারা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পেতে পারে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করা যেতে পারে। চাকরি পাওয়ার ১৫ বছরের মধ্যে লোন পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দশম শ্রেণীর পর থেকেই আবেদন করা যেতে পারে। রাজ্যের সমস্ত প্রান্তের পড়ুয়ারা প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারে। তবে আবেদনকারীকে এ রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে। স্কুলশিক্ষিকা মোনালিসা দাস বলেন, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রীর পর এই প্রকল্পের মাধ্যমে ও বহু ছাত্রছাত্রী উপকৃত হচ্ছে। আমাদের এলাকার কয়েকজন ছাত্রী নার্সিং পড়ছে। তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ।
আরও পড়ুন-মন্ত্রী নৃত্যের তালে তালে
সরকার পাশে না দাঁড়ালে তারা পড়াশোনা করতেই পারত না। জেলাতেও বহু ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কয়েকদিন আগে ক্রেডিট কার্ড নিতে বহরমপুর এসেছিল সুতির এক ছাত্রী। জানাল, কারিগরি বিষয় নিয়ে পড়তে চায়, তাই ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করেছিল। ঋণ মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ক্রেডিট কার্ড হাতে মুর্শিদাবাদের বহু ছেলেমেয়ের স্বপ্নপূরণ করতে চলেছে। এখন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য অভিভাবকদের ভাবতে হয় না। সরকার মেয়েদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রীর মতো প্রকল্প চালু রয়েছে। মুর্শিদাবাদের বহু ছেলেমেয়ে এখন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার হচ্ছে।