শহরে মিউটেশন ফি মকুব, তৈরি হবে নতুন জলপ্রকল্প, পুরবাজেটে ঘোষণা ফিরহাদের

Must read

প্রতিবেদন: শহরবাসীর জন্য বাজেটে বড়সড় ঘোষণা করলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার পুরসভার চলতি আর্থিক বছরের বাজেট ঘোষণা করে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, জমি-বাড়ির মিউটেশন ফি মকুব করা হল।

আরও পড়ুন : কর কাঠামোর বাইরে থাকা দেশের মানুষের হাতে মাসে ৭,৫০০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর, দেশজুড়ে প্রবল সাড়া

পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কলকাতাবাসীর পানীয় জল সমস্যার সমাধানে ২০০ কোটি টাকার এক প্রকল্প তৈরি হতে চলেছে। এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কলকাতা পুরসভা এলাকায় এবার থেকে আর মিউটেশন ফি লাগবে না। এতদিন মিউটেশন বাবদ ১০০ টাকা ও প্রসেসিং ফি বাবদ ১০০ টাকা দিতে হত। এই ২০০ টাকাও এবার থেকে আর লাগবে না। পাশাপাশি শহরবাসীর পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গত বছরের তুলনায় এবার পুরবাজেটে বরাদ্দ অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। বাজেটে এমনই ঘোষণা করেছেন মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এই ঘোষণার ফলে এবার থেকে মিউটেশন সংক্রান্ত ফি-তে আরও ছাড় পাবেন পুরবাসী।

আরও পড়ুন : নির্মল গ্রামে এগিয়ে বাংলা, গ্রামে বর্জ্য-শোধন কেন্দ্র

এতদিন মিউটেশন করাতে গেলে কিংবা সার্টিফিকেট তৈরি করতে যে ফি লাগত তাও আর দিতে হবে না। তবে মিউটেশন সার্টিফিকেটের প্রথম কপির জন্য টাকা না লাগলেও দ্বিতীয় কপি ক্ষেত্রে ফি দিতে হবে। পুর বাজেটে শহরের নাগরিকদের জন্য এই ঘোষণার সঙ্গেই সংযোজিত এলাকা, যাদবপুর ও টালিগঞ্জের মানুষের জন্য আরও এক দফা স্বস্তির খবর শোনান তিনি। এই সব এলাকার পানীয় জলের জন্য বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হবে। আর এই কাজের জন্য অতিরিক্ত ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবারের পুরবাজেটে। আড়াই বছর আগে পুরসভার দায়িত্ব নেওয়ার সময় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর দিকে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর্থিক কারণে এতদিন তা কার্যকর করা সম্ভব না হলেও অবশেষে এবার তা হতে চলেছে।

এছাড়াও এবারের বাজেটে একাধিক সুযোগ-সুবিধা পেতে চলেছেন শহরবাসী। কিছুদিন আগেই বহুতলের ক্ষেত্রে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট বা সিসি অসম্পূর্ণ থাকলেও এক দফা সুবিধা পেয়েছেন। পুরসভার সিদ্ধান্ত, ফ্ল্যাটের সমস্ত মালিক একসঙ্গে আবেদন জানালেই প্রোমোটার ছাড়াই ওই বহুতলের সিসি দেবে পুরনিগম। সেই সঙ্গে অনলাইনে বাড়ির মিউটেশন এবং রেজিস্ট্রেশনও শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন তিনি। চলতি অর্থবর্ষের বাজেটে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়েও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ করা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, নির্বাচন কমিশন পুর নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না করার কারণেই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয়েছে। গত দু’বার ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করা হলেও এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করল কলকাতা পুরসভা। নির্বাচন যখনই হোক না কেন, পুরসভার কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হয়েছে বলেই জানান তিনি। কলকাতা পুরসভার সংশোধিত বাজেট ও আয়ব্যয় বরাদ্দ এদিন অনুমোদিত হয়। ১৬১ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে বাজেটে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে আনুমানিক আয় ধরা হয়েছে ৪০৫০ কোটি টাকা। মোট ব্যয় ৪২২১ কোটি টাকা।

Latest article