আমার রবি কবি

তিনি কারও পরম মিত্র, কারও বা দুঃখের সান্ত্বনা, আবার কারও আনন্দের সঙ্গীও। সুখে-দুঃখে হর্ষ-বিষাদে, মিলন-বিচ্ছেদে জীবন জুড়ে তিনি বিরাজমান। তিনিই পথপ্রদর্শক। নানা ঘরানার গান গাইলেও মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গেই ঘর করেন যাঁরা, সেইসব শিল্পীর অস্তিত্ব জুড়ে শুধুই রবীন্দ্রনাথ। পঁচিশে বৈশাখে রবিপুজোয় মেতে ওঠেন তাঁরা। কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীরা স্মরণ করলেন তাঁকে। শুনলেন শর্মিষ্ঠা ঘোষ চক্রবর্তী

Must read

আমি ওঁর সন্তান
|| স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত ||
আমার জীবন জুড়ে তিনি রয়েছেন। আমার সারা শরীরে উনি প্রবাহিত। সারাজীবন আমি ওঁর জন্যই দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এতটা জুড়ে যাবার কথা নয়। আসলে উনি আমার কপালে ছিলেন। কারণ ছোটবেলায় রাবীন্দ্রিক পরিমণ্ডল আমার ছিল না। একটা ক্লাসিক্যাল পরিমণ্ডল ছিল। বাড়িতে নানাধরনের গানের চর্চা হত— গজল, কীর্তন, ঠুমরি, ধ্রুপদ, রবীন্দ্রসঙ্গীত, রক— আরও কত কী! মা ছিলেন দেবব্রত বিশ্বাসের ছাত্রী। দাদার পাশ্চাত্য গানের শখ ছিল। হিন্দি বড় বড় শিল্পীদের গান শুনতেন। ফলে সবরকম গানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে আমার। জীবনের একেক সময় একেক রকম গান নিয়ে চর্চা করেছি। গজলের অনুষ্ঠান করেছি। কিন্তু তরী ঠেকেছে রবীন্দ্রনাথেই। তাঁর গান বারবার না শুনলে, তাঁকে নিয়ে পড়াশুনো না করলে তাঁকে চেনা, উপলব্ধি করা যায় না। আমি তাঁকে উপলব্ধি করেছি বেশ বড় হয়ে। আমার নামের সঙ্গে এখন যখন সবাই বলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, ভালও লাগে আবার একটা অস্বস্তিও হয়। একটা কোথাও লিখন ছিল যে রবীন্দ্রনাথই আমাকে একদিন গ্রাস করে নেবেন। চার্টার্ড আকাউন্টেসি পড়তে গেছিলাম দিল্লি কিন্তু অমোঘ নিয়মে আমার ভাগ্যে ছিল জোড়াসাঁকো তাই কয়েকমাস পরেই ফিরে আসি। এরপরেই রবীন্দ্রভারতীতে ভর্তি হই। ৮৫-তে একটা সর্বভারতীয় হিন্দি গানের কম্পিটিশনে প্রথম হয়েছিলাম। চলচ্চিত্র এবং সঙ্গীতজগতের ষোলোজন নামজাদা মানুষ ছিলেন বিচারক। জেতার পর মুম্বই থেকে একটা হিন্দি ছবিতে গান গাইবার অফার এল। ঘটনাচক্রে সেখানেও যাওয়া হয়ে উঠল না। রবীন্দ্রনাথই বোধহয় আমাকে আটকে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে নিয়ে অজস্র কাজ করছি। ‘একলা গীতবিতান’ করেছি। ভগবদ্গীতার আঠারোটা অধ্যায় এবং গীতবিতানের আঠারোটা রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে ‘গীতবিতান’ তৈরি করেছি। রবীন্দ্রনাথের সুর আর স্বরলিপি না করা দেড়শো গানের সুর করেছি। আমার লেখা দশটি গল্প যার উৎস দশটি রবীন্দ্রনাথের গান। বইটার নাম ‘গান যদি গল্প হতো’। বইটা খুব জনপ্রিয় হয়েছে। আমার জীবনে তাঁকে নিয়ে সেরা কাজটা হল একচল্লিশটি রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে পুরো রামায়ণ তৈরি। এটা ‘রবি রামায়ণ’। এটার আমি একক অনুষ্ঠান করেছি। এই কাজটার পর কবি শঙ্খ ঘোষ আমাকে বলেছিলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে তোমাকে দত্তক নিতেন’। আমিও মনে করি যে আমি ওঁর সন্তান। পঁচিশে বৈশাখে আগে অনেক অনুষ্ঠান করতাম তখন একটা আনন্দ ছিল, এখন ব্যস্ততায় যেতে পারি না। আমার জীবনে প্রতিটা দিন প্রতিটা রাতই পঁচিশে বৈশাখ। শুধু এই দিনটা ভাল লাগে কারণ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মনে হয় আজ কবির জন্মদিন।

আরও পড়ুন-জিএসটি আদায়ে রেকর্ড করল রাজ্য

আমার প্রাণের মানুষ
|| জয়তি চক্রবর্তী ||
আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ প্রাণের মানুষ, আমি তাঁর হাতটি ধরে প্রাণের সঞ্জীবনী খুঁজে পাই, কখনও তিনি আমার পরম বন্ধু, আবার দুঃখের সান্ত্বনাও, কখনও তিনি আমার আনন্দের সঙ্গীও এবং সবচেয়ে বড় হল তিনি আমার পথপ্রদর্শক। প্রতিমুহূর্ত তিনি আমাকে উত্তরণের পথ দেখান। আমার সঙ্গীতজীবনে তাঁর প্রভাব সাংঘাতিক। ছোটবেলায় অনেক ধরনের গানের মাঝেই তাঁর গান শিখেছি। একটু বড় বয়সে এসে পুরোপুরি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া। তখন বিষয়টা বাহ্যিক ছিল। ছোটবেলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছি শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পরে সুভাষ চৌধুরীর কাছে গান শিখতে গিয়ে তাঁকে গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি। ২০০২-তে স্বাধীন বাংলা গান দিয়ে আমার যাত্রা শুরু। কালক্রমে পুরোপুরি রবীন্দ্রসঙ্গীতের জগতে ঢুকে পড়ি এটা স্বয়ং তিনি চেয়েছিলেন বলেই সম্ভব হয়েছে। আজ আর তাঁকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না। মনে হয় তিনি যেন আমাকে গ্রাস করেছেন। এখন আমি অপালা বসু সেনের কাছে শিখছি। নিরন্তর চলছে সেই শেখা। বাঙালি জাতি যতদিন বেঁচে আছে রবিঠাকুরের গান থাকবেই। তাঁর কথাকে আঁকড়ে ধরে মানুষ বেঁচে থাকবে। আগে সারারাত জেগে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে গেছি। এখন সময় পাই না, পঁচিশে বৈশাখে অনেক অনুষ্ঠান থাকে। সেগুলো করতেই দিনটা পেরিয়ে যায়।

আরও পড়ুন-সংঘর্ষের বর্ষপূর্তি বন্‌ধ মণিপুরে

আমার পরম বন্ধু
|| শ্রাবণী সেন ||
রবীন্দ্রনাথ আমার প্রিয় বন্ধু। তাঁকে ছাড়া আমার একমুহূর্ত চলে না। আজ প্রায় ৩৫ বছর গানের জগতে রয়েছি যেখানে আমার একমাত্র সঙ্গী রবীন্দ্রনাথ। তাঁর গানের মধ্যে আমি নিজেকে খুঁজে পাই। শিল্পীদের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে এগতে হয়, আমাকেও হয়েছে, তখন সেই শক্তিটা আমি রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে পেয়েছি। মা বিরাট শক্তি ছিলেন আমার। উনি সবসময় বলতেন যখন কাউকে পাবি না তখন রবীন্দ্রনাথকেই ধরে থাকবি, উনি পথ দেখাবেন। ছোটবেলায় মা তখন খুব নামকরা শিল্পী, বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করেন, দিদিও গান শিখছেন বাড়িতে, আমিই শুধু গানের মধ্যে ছিলাম না। বাবা খুব চাইতেন আমিও গান শিখি। যদিও বাবা গানের জগতের মানুষ ছিলেন না। কিন্তু গানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তারপর গানের জগতে আসা। গানে মা-ই আমার প্রথম গুরু। এরপর মায়া সেনের কাছেও গান শিখেছি। মায়া মাসির সঙ্গে আমার খুব নিবিড় সম্পর্ক ছিল। আমার বয়স হয়েছে, এখন মনে হয় আরও বেশি করে রবীন্দ্রনাথকে আঁকড়ে থাকি। তাঁর সুরের মধ্যে, গানের মধ্যে ডুবে যাই। রবীন্দ্রনাথের গান শুনলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। আমার অ্যাকাডেমির এগারোটা ব্রাঞ্চে প্রচুর ছাত্রছাত্রী। তারা প্রাণের আনন্দে রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখে। তাই উনি সবসময় প্রাসঙ্গিক সবসময় থাকবেন। এখন পঁচিশে বৈশাখ আর কোথাও যাই না। ওই দিনটা আমি খুব গান শুনি। সারাদিন তাঁর মধ্যেই ডুবে থাকি।

আরও পড়ুন-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কেন চুপ মোদি? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

তিনি আমার ঈশ্বর
|| দেবারতি সোম ||
রবীন্দ্রনাথ স্বয়ংসম্পূর্ণ, তিনি আমার কাছে ঈশ্বর। মনে মনে আমি যদি কাউকে ঈশ্বর বলে মানি তাহলে তিনি রবীন্দ্রনাথ। আমার অন্তরে, বাইরে তিনি সদা রয়েছেন। আমার গোটা জীবনটা ওঁর সঙ্গেই কাটছে। খুব ছোটবেলায় তাঁর গান শেখা শুরু করি গীতবিতানে। তখন উপলব্ধি করিনি তাঁকে। আজও কি সম্পূর্ণ উপলব্ধিতে আসতে পেরেছি! কিন্তু এখন যেটা হয় রবীন্দ্রনাথের অনেক গান শুনলে আমার গায়ে কাঁটা দেয়। তাঁর গানের কথা সুরের অর্ধনারীশ্বর মিলন বিস্ময়কর লাগে। আমার জীবনে তিনি আছেন সুখে, দুঃখে, আনন্দে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গেছে জীবন। তখন পাশে থেকেছেন তিনি। আমি এখনও রবীন্দ্রনাথের কাছে অনেক শিখি। আমার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষার শুরু গীতবিতানে তারপর প্রফুল্লকুমার দাস, মায়া সেনের কাছে। এরপর ইন্দিরা শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হই। সেখানে সুভাষ চৌধুরী, সুপর্ণা চৌধুরীর কাছে তালিম নিয়েছি। আমি ব্রহ্মসঙ্গীতও শিখেছি। মা-বাবা এবং শ্বশুরবাড়ির সবাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছে। মায়ের যখন শেষ সময়, তখন প্রায়দিনই মায়ের কাছে বসে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতাম। পঁচিশে বৈশাখ সারাদিন কেটে যায় অনুষ্ঠানে। গানে গানেই রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাই।

আরও পড়ুন-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কেন চুপ মোদি? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

আমার পরম আশ্রয়
|| চন্দ্রাবলী রুদ্র দত্ত ||
রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে এক পরম আশ্রয়। সুখে-দুঃখে আমার তাঁকে প্রয়োজন। অত্যন্ত দুঃখের সময় আমি যেভাবে রবীন্দ্রনাথের লেখায় উদ্বুদ্ধ হয়েছি এবং সেই দুঃখকে পেরিয়েছি। আমাকে আলোর দিশা দেখিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রোজকার জীবনযাপনে আমার তাঁকে দরকার। গীতবিতান যেন অমোঘ সঞ্জীবনী মন্ত্র। আমার মায়ের জন্ম, বেড়ে ওঠা, দীক্ষা, শিক্ষা সব শান্তিনিকেতন। মা ছিলেন আশ্রমকন্যা। মায়ের নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথের নৃত্যনাট্যের গান শুনিয়ে আমাকে মা ঘুম পাড়াতেন। তাই রবীন্দ্রনাথ আমার মধ্যে সঞ্চারিত জন্মলগ্ন থেকে। আমার দাদু তারকচন্দ্র ধরকে খুব ভালবাসতেন, নির্ভর করতেন রবীন্দ্রনাথ। ইন্দোনেশিয়া থেকে বাটিক শিখে এসে প্রতিমা দেবী শান্তিনিকেতনে আমার দিদিমাকে শিখিয়েছিলেন। তারপর দিদিমার থেকে আমার মা শেখেন। আমার সাজপোশাক, রুচি সবকিছুতে রবীন্দ্রনাথ এবং শান্তিনিকেতনের প্রভাব। আমার রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম গুরু আমার মা তারপর অরবিন্দ বিশ্বাস, প্রসাদ সেন, শৈলজারঞ্জন মজুমদার প্রমুখ। রবীন্দ্রনাথের এমন আধুনিক মনস্ক কম্পোজার বা লিরিসিস্ট বিরল। সারাবিশ্বে তাঁর গানের যে প্রচার আর প্রসার তার কারণ তাঁর প্রাসঙ্গিকতা এবং আধুনিকতা। পঁচিশে বৈশাখ আমরা গঙ্গাজলেই গঙ্গাপুজো করি। তাঁর গানেই তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। এ-বছরও কাটাব। ভোর সাড়ে তিনটে-চারটেয় উঠে বেরিয়ে পড়ি।
আমার স্বামী প্রদীপ দত্ত একজন নামী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। আমার মেয়েও খুব ভাল গান করে। আমাদের গোটা পরিবার পুরো দিন জুড়ে রবিপুজো করি। পরে আর একদিন আমার ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও আমার নিজের প্রতিষ্ঠানে কবিপ্রণাম পালন করি।

আরও পড়ুন-সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলকে নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ শিক্ষামন্ত্রীর

আরও আঁকড়ে ধরছি
|| ইন্দ্রাণী সেন ||
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয় কোন শৈশবে! রবীন্দ্রসঙ্গীতের বাড়িরই মেয়ে। মা সুমিত্রা সেন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতেন। আমি পরে অন্য গান গেয়েছি। সেটা আমার অন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গেই বড় হয়েছি। ১৯৭৫ সালে প্রথম আমি চার-পাঁচটা রবীন্দ্রনাথের গান রেকর্ড করি। আমার প্রথম প্লেব্যাকও রবীন্দ্রসঙ্গীত। ছবির নাম ‘শেষরক্ষা’। যত বয়স বাড়ছে তত বেশি তাঁকে আঁকড়ে ধরতে ইচ্ছে করছে, ভালবাসতে ইচ্ছে করছে। রবীন্দ্রনাথকে আরও বেশি উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি। বয়সের ধাপে ধাপে তাঁর সম্পর্কে উপলব্ধি বদলেছে। জীবনের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর তাঁর কাছে পেয়েছি, তিনি আমার বন্ধু। সুখ-দুঃখে, হর্ষ-বিষাদে, বিচ্ছেদে-মিলনে সবসময় যেন মনে হয় রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর গান রয়েছে। তিনি আজ থেকে হাজার বছর পরেও প্রাসঙ্গিকই থাকবেন। নতুন গান আসবে যাবে কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীত কালজয়ী। আমার প্রথম গুরু আমার মা সুমিত্রা সেন। তারপরে দেবব্রত বিশ্বাস। মৃত্যু পর্যন্ত আমি ওঁর ছাত্রী ছিলাম। কবিগুরুর জন্মদিন অনুষ্ঠান করেই কেটে যায়। এইদিন বিকেলে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একটা খুব সুন্দর অনুষ্ঠান অর্গানাইজ করেন ক্যাথিড্রাল রোডে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে। সেখানে যাই। আসলে শুধু ওই দিনটা নয়, আমার কাছে ৩৬৫ দিনই রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন।

Latest article