প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী চান দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। বারেবারে তিনি সেকথাই বলেছেন। প্রকাশ্যেই। উৎকর্ষ বাংলার প্রকল্পে নিয়োগপত্রে কিছু গরমিল ধরা পড়েছে। এ নিয়ে কড় পদক্ষেপ করল নবান্ন। ভবিষ্যতে নিয়োগপত্র নিয়ে যাতে কোনও দুর্নীতি না হয় তা নিয়ে সজাগ সরকার।
মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছে। বঞ্চিত হওয়া মোট ১০৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে বিকল্প চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও মুখ্য সচিব জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-আসছে ঘূর্ণাবর্ত, পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য সচিব বলেন ওই ১০৭ জন প্রার্থীকে রাজ্য সরকারের তরফে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তা ঠিক নয়। রাজ্যের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের চাকরির সংস্থান করার জন্য রাজ্য সরকার সিআইআই এর মতো বণিক সভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছে। বণিক সভা, বিভিন্ন শিল্প সংস্থার সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী মারফত যোগাযোগ করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের চাকরি বা শিক্ষানবিশের ব্যবস্থা করে। এখানে রাজ্য সরকারের ভূমিকা শুধুমাত্র শিল্প সংস্থা এবং চাকরিপ্রার্থীদের যোগাযোগের মঞ্চ প্রদান করা। এই ঘটনার ক্ষেত্রে গুরগাঁও ভিত্তিক একটি বেসরকারি মধ্যস্থতাকারী সংস্থার দোষেই এই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে মুখ্যসচিব দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন-ফের ভাঙন ফরওয়ার্ড ব্লকে
তিনি জানান, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরদিকে ওই প্রার্থীদেরও সিআইআইয়ের মাধ্যমে বিকল্প চাকরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একেকজন প্রার্থী একাধিক চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। মুখ্যসচিব বলেন তাঁরা এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন। এখন থেকে কোনও প্রার্থীকে এ ধরনের নিয়োগপত্র দেওয়া হলে তা রাজ্য সরকার এবং বণিক সভা ভাল করে খতিয়ে দেখবে। যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আগামীতে যাতে না হয়। তবে ভুয়ো নিয়োগপত্রের উৎস কী তা নিয়েও তদন্ত হবে। মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবে চান বাংলার ছেলেমেয়েরা বাংলাতেই চাকরির সুযোগ পান। যেভাবে একাধিক জেলাতে বিনিয়োগ আসছে তাতে আগামী দিনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষোভাবে অনেক কাজের সুযোগ তৈরি হবে। বিরোধীরা অবশ্য এ নিয়ে কটাক্ষ করলেও বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থাশীল।