প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গি (Dengue- Nabanna) পরিস্থিতির মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে জেলাগুলির সঙ্গে আরও একবার সমন্বয় বৃদ্ধি করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। জেলাগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী শনিবার নবান্নে এক দফায় সব জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং পুলিশের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেখানে ডেঙ্গি (Dengue- Nabanna) বৃদ্ধি পেতে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি সব দফতরের মধ্যে আরও সমন্বয় বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশি করে রক্ত পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখা এবং সঠিক চিকিৎসা পরিকাঠামো ব্যবস্থা রাখার কথা বলেছেন। এদিকে এদিনই আরও একটি প্রাণ কেড়ে নিল ডেঙ্গি। দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহুয়া রায় (৪৭) জ্বর নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৩ অক্টোবর। শুক্রবার বেশি রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন নবান্নের বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২ সপ্তাহ ধরে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৩১ হাজারের বেশি মানুষ মশাবাহিত এই রোগের কবলে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি রোগ ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। এই জেলায় সরকারি হিসাবে এখনও পর্যন্ত ৫৯০১ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাট এবং দেগঙ্গার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উত্তর ২৪ পরগনার পরই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে হাওড়ায়। এই জেলায় এখনও পর্যন্ত ৩৮৬৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গি আক্রান্তের দিক থেকে ৩ নম্বরে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৩৪০৬ জন ডেঙ্গির কবলে পড়েছেন। এছাড়া হুগলি, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই কারণেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে গণসচেতনতা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে মালবাজারে প্রস্তুতি তুঙ্গে