রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থীদের। শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে ৪৭টি ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে এবার চার তৃণমূল প্রার্থী হেভিওয়েট। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে এবার প্রথম পুর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি কুন্তল রায়।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে পুরনো কাউন্সিলর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেত্রী শ্রাবণী দত্ত এবারের মহিলা হেভিওয়েট প্রার্থী। এই চার প্রার্থীর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা শহর। নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে। তারপরেই ভোট পরিচালনার রণকৌশল ঠিক করতে দফায় দফায় ওয়ার্ডের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে চলেছেন এই চার প্রার্থী। যদিও নির্বাচনে রণকৌশল কী তা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি কেউই। প্রত্যেকের লক্ষ্য একটাই, করোনা বিধি মেনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ভোট যাতে হয়।
আরও পড়ুন – রাত পোহলেই পুরভোট, তৃণমূলের কনিষ্ঠতম প্রার্থী রাখালকে নিয়ে উন্মাদনা বিধাননগরে
এই বিষয়ে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ভোট পরিচালনার রণকৌশল ঠিক করে ফেলেছি তবে তা সংবাদমাধ্যমকে বলার মতো নয়। তবে লক্ষ্য একটাই, করোনা বিধি মেনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ভোট পরিচালনা করা। এছাড়াও তিনি বলেন, অন্যান্য নির্বাচনের মতো এবারও নির্বাচনের দিন সকালে বাড়িতে পুজো দিয়ে মন্দিরে যাব। সেখানেও পুজো দিয়ে তারপর নিজের ভোট দেব।
তারপরেও নিজের ওয়ার্ডে যাব। তবে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রাক্তন জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘ভোটের রণকৌশল দল ঠিক করে দিয়েছে। করোনা বিধি মেনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ ভোট করতে চাই। নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষ যাতে সকাল-সকাল এসে নিজের ভোটটা নিজে দিয়ে যান সেই আবেদন রাখছি।” ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কুন্তল রায় অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী। গোটা জেলার যুব সমাজ তাকিয়ে রয়েছে তাঁর দিকে। তাই তাঁর জায়গাও জেলার যুবকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কুন্তল বলেন, ‘‘আমি চাই আমার ওয়ার্ডে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উৎসবের মেজাজে ভোট হোক। কারণ ভোট মানেই গণতন্ত্রের উৎসব।”
শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনের মহিলাদের মধ্যে অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রাবণী দত্ত। হাতের তালুর মতো তাঁর চেনা গোটা ওয়ার্ড। পুরনো কাউন্সিলর। তাই ওয়ার্ডের প্রত্যেক ঘরের মানুষকে খুব ভালভাবে চেনেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘করোনার কারণে গত বিধানসভা নির্বাচনে অনেক বয়স্ক মানুষের ভোট বাড়ি গিয়ে আনা হয়েছিল। এবারে তা না হলেও সম্পূর্ণ বিধি মানা হবে। তাই সকলকে নির্ভয়ে ভোট দেবার আবেদন জানাচ্ছি।”