প্রতিবেদন : ঘরে ঘরে জ্বলে উঠল আলো। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনটা এবার একটু অন্যরকম ভাবে পালন করল হলদিয়ার দুটি গ্রাম, বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনচক। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে অবশেষে বিদ্যুৎ এল ঘরে ঘরে। গত ১ জানুয়ারি প্রথম আলো জ্বলেছিল। জোরকদমে চলছিল কাজ। সোমবার ট্রান্সফর্মার বসানোর মধ্য দিয়ে সেই কাজ শেষ হল। শুরু হল উৎসব। বাজি, পটকা, ঢাক, ঢোল, পুষ্পবৃষ্টি, উলুধ্বনিতে মেতে উঠেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন-নেতাজিকে যোগ্য সম্মান দেয়নি ফব
গ্রামে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। দাঁড়িয়ে থেকে কাজের তদারকি করলেন। পুষ্পবৃষ্টি করে তাঁকে বরণ করে নেন গ্রামবাসীরা। কিছুদিন আগে দুই গ্রামে বিদ্যুৎ আনার উদ্যোগ নেন কুণাল। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারই ফলশ্রুতি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই জ্বলে উঠল আলো। বাড়ি বাড়ি খোঁজ নেন কুণাল। গত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জ্যোৎস্না মণ্ডলের বাড়িতেও যান। তিনিও খুশি। বললেন, তৃণমূলের জন্যই সম্ভব হল। আনন্দে গ্রামবাসীদের মিষ্টিও খাওয়ান। পরে একটি সভাতেও যোগ দেন কুণাল। সভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেবপ্রসাদ মণ্ডল-সহ অন্যরা। সভায় শিলিগুড়ি থেকে ফোনে ভাষণ দেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আনন্দের দিনে তিনি গ্রামবাসীদের শুভেচ্ছা জানান। এই উদ্যোগের জন্য কুণালের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন-বাংলা ভাগ হতে দেবে না তৃণমূল
এদিন উপস্থিত থাকতে না পারলেও মাসখানেকের মধ্যে বিদ্যুৎমন্ত্রী হলদিয়ায় যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এদিন নন্দীগ্রামের মোহনার কাছে নাকজিরাচকেও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হল। হলদিয়ার সঙ্গে এখানেও কাজ চলছিল। সেখানেও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হল। নন্দীগ্রামের ব্লক ১-এর সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গই এই গ্রামের কথা বলেছিলেন। কুণালের অনুরোধে বিদ্যুৎমন্ত্রীর নির্দেশে সংযোগের কাজ শুরু হয়। অন্য দলের সমর্থকরাও তৃণমূলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এরপর কুণাল যান স্থানীয় পল্লি উৎসব মেলা প্রাঙ্গণে। সেখানে আয়োজিত সভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, শিউলি সাহা, জ্যোতির্ময় কর, উত্তম বারিক, জেলাশাসক, বিডিও-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।