প্রতিবেদন : জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চকেও এবার কংগ্রেসমুক্ত করতে নামল মোদি সরকার। সেজন্য এই পুরস্কারের বৃত্ত থেকে মুছে দেওয়া হল প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-শিক্ষাঙ্গনে আজ আধুনিকতার ছোঁয়া
সেরা নবাগত পরিচালকের তৈরি চলচ্চিত্রের জন্য ‘ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার’ এবং জাতীয় সংহতির জন্য সেরা ফিচার ফিল্মের ‘নার্গিস দত্ত পুরস্কার’ নাম দুটি বদলে যাচ্ছে। ইন্দিরা ও নার্গিসের নাম ছেঁটে ফেলে পুরস্কারের নাম রাখা হচ্ছে। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার থেকে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী এবং কিংবদন্তি অভিনেত্রীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২-এর নিয়মবিধিতে পরিবর্তনের নামে এই কাটছাঁট করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। কেন্দ্রের কমিটির মাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব এনে অপছন্দের নাম কৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়া দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য অর্থমূল্য বাড়ানো হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি পুরস্কারকে একত্রিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-অন্নদাতা কৃষকদের সমর্থন, কেন্দ্রের জেল তৈরির প্রস্তাব খারিজ, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের
কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, এই কমিটি মহামারী চলাকালীন পরিবর্তনগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিল। এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়। কমিটির প্রস্তাবিত পরিবর্তন অনুসারে, কোনও নবাগত পরিচালকের সেরা চলচ্চিত্রের জন্য ‘ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘একজন পরিচালকের সেরা অভিষেক চলচ্চিত্র’ নাম রাখা হয়েছে। আগে পুরস্কারের অর্থ প্রযোজক এবং পরিচালকের মধ্যে বিভক্ত ছিল। এখন তা পাবেন শুধু পরিচালক।
একইভাবে, ‘ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন এর উপর সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য নার্গিস দত্ত অ্যাওয়ার্ড’ নাম বদলে এখন বলা হবে ‘জাতীয়, সামাজিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধের প্রচারে সেরা ফিচার ফিল্ম’। এই বিভাগটি সামাজিক সমস্যা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য পুরস্কার বিভাগকে একটিতে একত্রিত করবে। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব নীরজা শেখর। অন্য সদস্যরা হলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রিয়দর্শন, বিপুল শাহ, হাওবাম পবন কুমার, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) প্রধান প্রসূন যোশী, সিনেমাটোগ্রাফার এস নাল্লামুথু। পাশাপাশি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব প্রিথুল কুমার এবং মন্ত্রকের পরিচালক (অর্থ) কমলেশ কুমার সিনহা। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের আর্থিক অঙ্ক ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।