প্রতিবেদন : আইএসএফ বা নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) আসলে যে মোদির এজেন্ট হিসেবেই বাংলার রাজনীতিতে জন্ম নিয়েছে তা আবার প্রমাণিত হল কেন্দ্র তাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ায়। বঙ্গ-বিজেপির সুপারিশ মতোই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে নওশাদ। কিন্তু কেন? বাংলার মাটিতে ২০২১-এর নির্বাচনের আগে আইএসএফকে শিখণ্ডী খাড়া করে বিজেপি ভোট কাটার খেলায় নেমেছে। সেই শুরু। পরবর্তীতে এই আঁতাতে যোগ দিয়েছে সিপিএম। সম্প্রতি বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও নিত্যানন্দ রায়ের সঙ্গে কথোপকথের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিজেপি-আইএসএফের গোপন আঁতাতের বিষয়টি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের সামনে চলে এসেছে। আব্বাস সিদ্দিকির বয়ানেও বিজেপির প্রতি তাদের ভালবাসা প্রমাণ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, যে বিজেপি সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু কারওর জন্যই কিছু করেনি, সেই বিজেপির পা ধরছে নওশাদ। যে বিজেপি এনআরসি, সিএএ-এর নামে দেশের মানুষকে তাড়াতে চায়, সেই বিজেপির হাতে তামুক খাচ্ছে নওশাদ। যে বিজেপি বাংলার মানুষের ন্যায্য পাওনা আটকে রেখে তাদের যন্ত্রণা দিচ্ছে সেই বিজেপির কোলের ছেলে নওশাদ (Naushad Siddiqui)। বিজেপি নেতাদের নির্দেশে ভাঙড়ে মনোনয়নের নামে হামলা-বোমাবাজি-গুলি চালিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধর শুধু নয়, খুন করেছে আইএসএফ। এখন চাপে পড়ে প্রার্থিপদ প্রত্যাহারের নাটক করছে তারা। আসলে মুখোশ খুলে গিয়েছে। তাই পিঠ বাঁচাতে এই নাটক করছে নওশাদ। কারণ তারা ভাল করেই জানে পঞ্চায়েতের ফলাফল বেরলে দেখা যাবে গোহারা হেরেছে আইএসএফ প্রার্থীরা। তাই আগে থেকে এসকেপ রুট তৈরি রাখছে। যাতে পরে আইএসএফ প্রার্থীদের হারের দায় নিতে না হয়।
আরও পড়ুন- বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে রাজ্যপালের ছেলেখেলা, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি