প্রতিবেদন : শনিবার ধরনামঞ্চে ধাক্কা খেলেন বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad siddiqui)। গত কয়েকদিন ধরেই ডিএ ধরনা মঞ্চে সরকারি কর্মচারীদের উসকানি দিতে লাগাতার গিয়েছেন সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রসের ছোট-বড়-মেজ নানা মাপের নেতা সাময়িক ভাবেই নৌশাদই বা পিছিয়ে থাকেন কীভাবে। তাই ঘোলাজলে মাছ ধারতে শনিবার তিনিও ধরনা মঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। এদিন নৌশাদ (Naushad siddiqui) বক্তৃতা শুরু করতেই এক যুবক উঠে দাঁড়িয়ে বিধায়ককে প্রশ্ন করেন, সংখ্যালঘুদের জন্য আপনি কী করেছেন? আচমকা প্রশ্ন শুনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন নৌশাদ। খানিক সামলে নিয়ে ওই যুবককে কিছু একটা বোঝানোর চেষ্ঠা করতেই যুবকটি সপাটে ধাক্কা মারেন নৌশাদকে। সঙ্গে বারবার একই প্রশ্ন করতে থাকে, আপনি এত বক্তৃতা দিচ্ছেন আপনি সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছেন? ধাক্কা খাওয়ার পরই হতভম্ব হয়ে পড়েন নৌশাদ। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। গোটা ঘটনায় পণ্ড হয়ে যায় জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা। আমরা বিধায়ককে অপদস্থ বা গায়ে হাত তোলার সমর্থন করি না। কিন্তু নৌশাদ সহ বিরোধীদের নেতা-নেত্রীরা যেভাবে সারাদিন উসকানিমূলক কথাবর্তা বলে পরিস্থিতিকে জটিল করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেন তাতে তাঁদের এই ধরনের প্রশ্ন ও পরিস্থিতির সম্মুখীন হতেই হত। ঘটনাচক্রে নৌশাদের সঙ্গে শনিবার ঘটেছে। উসকানি ও প্ররোচনা দিয়ে রাজ্যেকে অশান্ত করে তোলা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র লাগাতার করে যাচ্ছে বিরোধীরা। আসলে সত্যি প্রশ্নের মুখে পড়ে ডায়লগবাজ নেতাদের নেতাদের কী অবস্থা হয় শনিবার দেখল গোটা বাংলা। এই ধরনের চড় বা শারীরিক হেনস্তা সমর্থন করি না। এটা সুস্থ রাজনীতি নয়। তবে এই মঞ্চ নাটকের মঞ্চ হয়েছে। নাটকের কোন অঙ্কে কে কী অভিনয় করছে সেটা বলা মুশকিল। এই চড়-কাণ্ডের পেছনে অন্য ঘটনা আছে বলে বলা হচ্ছে। তবে ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন তাঁরা।