সংবাদদাতা, নয়াচর : বদলে যাচ্ছে নয়াচরের ছবি। রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন কর্মসূচি চালাচ্ছেন, তার জেরে নয়াচরও নবরূপ পেতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত নয়াচরে প্রস্তাবিত ফিশিং হাব ও ইকো ট্যুরিজম পার্কের জন্য মঙ্গলবার থেকে সার্ভে শুরু করল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এর জন্য জেলার বিভিন্ন আধিকারিকদের নিয়ে ইতিমধ্যে চারটি সার্ভে টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে চারজন করে আছেন। তাঁদের মধ্যে রেভিনিউ অফিসার, আমিন-সহ মৎস্য অধিকর্তা পদমর্যাদার অফিসার ও কর্মীরা আছেন। সেই টিমগুলি মঙ্গলবার নয়াচরে পৌঁছে কোথায় কতটা জমি রয়েছে, তা নিয়ে ফিল্ড সার্ভে করেন। তবে তার আগে সোমবার বিকেলে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি এই চারটি সার্ভে টিমের শীর্ষ অফিসারদের নিয়ে হলদিয়ায় বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠক থেকে নয়াচরে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা এবং আগামী দিনের কর্মসূচি নিয়ে রূপরেখা বেঁধে দেন জেলাশাসক। উল্লেখ্য, নয়াচরের ১২ হাজার একর জমির মধ্যে ফিশিং হাব, ইকো ট্যুরিজম, সোলার প্ল্যান্ট, রাস্তাঘাট প্রভৃতি তৈরি হবে। পরিকাঠামো উন্নয়ন, মাছচাষ, ইকো পার্ক তৈরি করতে কোথায়, কতটা জমি লাগবে, সে নিয়েই এদিন সার্ভে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে অধিনায়ক বিভ্রাটে তোলপাড়
জেলাশাসক বলেন, ‘‘আপাতত নয়াচরে ফিল্ড সার্ভে হল। এরপর রাজ্যের নির্দেশমতো আমরা নয়াচরে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও ফিশিং হাবের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাব।’’ উল্লেখ্য, নয়াচরে মোট ১২ হাজার একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার একর জমি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। বাকি জমি ভূমি দফতরের। পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি বাসিন্দা ওই এলাকায় মাছচাষের সঙ্গে যুক্ত। গত ২৪ নভেম্বর রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্য সরেজমিনে নয়াচর পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তারপর ১১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের জন্য রিপোর্ট পাঠানো হয় নবান্নে। রাজ্য সরকার নয়াচরে এই প্রকল্প রূপায়ণে সবুজ সংকেত দিতেই তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন। এই প্রকল্প রূপায়ণ হলে নয়াচরে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। মীনদ্বীপকে ঘিরে তৈরি হবে কর্মসংস্থান।