নয়াদিল্লি: টোকিওতে সোনা জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ইতিহাস গড়েছেন নীরজ চোপড়া। ২৩ বছর বয়সি নীরজের হাত ধরেই অলিম্পিকের ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম পদক জিতল ভারত। তাও আবার সোনা!
নীরজের ঐতিহাসিক সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে জার্মান কোচ উয়ে হনের। প্রসঙ্গত, উয়ে হন বিশ্বের একমাত্র জ্যাভলার, যিনি একশো মিটারেরও বেশি দূরে ছুড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে ১০৪.৮০ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই নজির গড়েছিলেন তৎকালীন পূর্ব জার্মানির এই অ্যাথলিট। যা আজও কেউ স্পর্শ করতে পারেননি।
টোকিওতে নীরজ সোনা জেতার পর, সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন উয়ে হনও। নীরজের সাফল্য নিয়ে গোটা দেশে যখন উচ্ছ্বাসের ঢেউ, তখনই প্রকাশ্যে এসেছে অলিম্পিক শুরু হওয়ার আগে জার্মান কোচের একটি সাক্ষাৎকার। যেখানে অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিয়ে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের ওপর রীতিমতো তোপ দেগেছিলেন উয়ে হন। তিনি ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, ভারতীয় অ্যাথলিটরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের সুযোগ-সুবিধে থেকে বঞ্চিত। অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য পাতিয়ালায় যে পরিকাঠামো রয়েছে, তা আন্তর্জাতিক মানের ধারেকাছেও নয়।
নীরজের কোচের বক্তব্য, ‘‘পাতিয়ালার ট্রেনিং পরিকাঠামো আন্তর্জাতিক মানের নয়। অথচ সাই এবং অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন দাবি করছে, সেরা মানের সুবিধে দেওয়া হচ্ছে।’’ ক্ষুব্ধ উয়ে হন আরও যোগ করেছিলেন, ‘‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভারতে কোচিং করাতে এসেছি। তবে এই পরিকাঠামোতে তা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী, আমি এটাই বুঝতে পারি না, সাইয়ের কর্মীরা অযোগ্য না কি ইচ্ছে করেই নিজের দায়িত্ব পালন করে না! ট্রেনিংয়ের কথা বাদ দিন, অ্যাথলিটদের জন্য যে ধরণের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন, সেটাও দেওয়া হয় না!’’
সম্ভবত এই কারণেই অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিতে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন নীরজ এবং তাঁর কোচ।