প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একের পর এক জনমুখী কর্মসূচি নিচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গে সেগুলি বাস্তবায়িতও হচ্ছে। কেন্দ্রের ধারাবাহিক বঞ্চনা সত্ত্বেও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প অথবা পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাপকাঠিতে ক্রমশ এগোচ্ছে বাংলা। দিল্লি রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না। বাংলার মানুষের রায়ে ইভিএমে বিজেপির বরাতে জুটেছে লবডঙ্কা। ফলে প্রতিহিংসার ছক। বাংলাকে ভাতে মারার চক্রান্তের জাল বুনছে মোদি-শাহ জুটি। এত কিছু করেও দমানো যাচ্ছে না বাংলার অগ্রগতি। দমানো যাবেও না। সেই কথাই ফের প্রমাণিত হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর আরও একটি দূরদর্শী এবং বৈপ্লবিক পদক্ষেপে।
আরও পড়ুন-প্রতিহিংসার রাজনীতি আবারও কেন্দ্রীয় সংস্থা
রাজ্যের অর্থনীতিকে সচল, মজবুত ও স্বচ্ছ রাখতে পরিকাঠামো ও প্রক্রিয়ার ব্যাপক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই লক্ষ্যে গঠিত হল অর্থ দফতরের একটি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সেল। জানা যাচ্ছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ পুরোদমে শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমেই স্বচ্ছতা আনতে ঋণ ও রাজস্ব আদায়ের প্রক্রিয়া পুরোপুির অনলাইন করা হয়েছে। এবার সরকারের আয় বৃদ্ধির উপায়, জনস্বার্থে খরচের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানো বা ঋণ পরিচালনার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয় বিশদে পর্যালোচনা করতে এই বিশেষ সেল গঠিত হল। সেলটির নাম দেওয়া হয়েছে সেন্টার ফর ফিসক্যাল পলিসি অ্যান্ড পাবলিক ফিন্যান্স। এই নতুন সেলটি পরিচালনার জন্য ১১টি নতুন পদও সৃষ্টি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিরিয়ানির দোকানে গুলি
অর্থ দফতর থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক এই সেলের ডিরেক্টর হবেন। এছাড়া থাকবেন একজন করে অতিরিক্ত, যুগ্ম ও ডেপুটি ডিরেক্টর। এখন অতিরিক্ত যুগ্মসচিব, উপ ও সহকারী সচিব পর্যায়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই ওই পদে আধিকারিক নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও চুক্তির ভিত্তিতে দু’জন করে মোট চারজন ইন্টার্ন ও রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট নিয়োগ করা হবে। ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদনকারীদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর, রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটদের পদে আবেদনকারীদের অর্থনীতিতে এমফিল বা পিএইচডি থাকতেই হবে।
চুক্তির ভিত্তিতে দু’জন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরও নিয়োগ করা হবে। অবসরপ্রাপ্ত একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকেও চুক্তিতে কাজে নেওয়া হবে জানানো হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক বা এডিবির সহায়তায় এই সেল গঠন করা হয়েছে। আর্থিক বিষয়গুলিতে নজরদারির পাশাপাশি, সরকারি আধিকারিকদের আর্থিক প্রশাসন পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে দেওয়া হবে।