প্রতিবেদন : ৩ মে থেকে মণিপুরে অশান্তি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার অজুহাতে রাজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন মানুষ। এই পরিষেবা যাতে দ্রুত চালু করা যায় তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দায়ের হয়েছিল।
আরও পড়ুন-স্কুলে খ্রিস্টান প্রার্থনা সংগীত, বিজেপি রাজ্যে প্রিন্সিপালকে পেটাল হিন্দুত্ববাদীরা!
কিন্তু ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল শীর্ষ আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই মণিপুর হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে। হাইকোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্পপরিসরে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু রাখা যায় কি না তা খতিয়ে দেখছে ওই কমিটি। তাই এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালত কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না।
আরও পড়ুন-চরম অরাজকতা মণিপুরে স্কুলের সামনে শিক্ষিকাকে খুন
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানায়, খুব শীঘ্রই মণিপুর হাইকোর্টের জন্য একজন নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ৫ জুলাই মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুলের নাম প্রস্তাব করেছে বলে খবর। মৃদুল বর্তমানে দিল্লি হাইকোর্টে কর্মরত রয়েছেন। বৃহস্পতিবারই মণিপুরে ফের এক দফা নতুন করে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মেয়াদ ১০ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।