প্রতিবেদন : বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে, আলোচনা ও বিতর্কের যথেষ্ট সময় না দিয়েই সংসদে তিন সংহিতা (New criminal laws) পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা এখন নতুন আইন হয়েছে। অবশেষে কেন্দ্রের ঘোষণা, আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে কার্যকর হতে চলেছে তিনটি ফৌজদারি আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম আইন। এই আইন কার্যকরের জেরে বাতিল হয়ে যাবে এখনকার ভারতীয় দণ্ডবিধি (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি), ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি (সিআরপিসি) এবং ১৮৫৭ সালের ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ১ বছরের মধ্যেই নয়া এই ৩ আইন (New criminal laws) কার্যকর হবে দেশের সব থানায়। দিল্লি, চণ্ডীগড়ের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে প্রথমে সেই তিনটি আইন কার্যকর হবে। পাশাপাশি জানা যাচ্ছিল, নয়া তিনটি ফৌজদারি আইনের সঙ্গে যাতে দেশের সব থানা সহজ হতে পারে, সেজন্য ৯০০টি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি অধিগ্রহণের চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রশিক্ষকদের নিয়োগ করছে। কারণ তিনটি আইনেই প্রযুক্তি ও ফরেন্সিকের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারিতে জয়পুরে পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলদের বার্ষিক সম্মেলন থেকেই পুলিশ অফিসারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। যাতে তাঁরা নয়া তিনটি ফৌজদারি আইনের সঙ্গে সড়গড় হয়ে ওঠেন। সেইসঙ্গে নয়া তিনটি ফৌজদারি আইনে যেহেতু প্রযুক্তির উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে, তাই থানা থেকে শুরু পুলিশের সদর দফতর পর্যন্ত প্রযুক্তি উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-বিলকিস মামলার আরেক অপরাধীকে দশদিনের প্যারোল দিল গুজরাত হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, নতুন যে তিনটি আইন আনা হয়েছে, তাতে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের ক্ষেত্রে নিয়ম পালটানো হয়েছে। ই-এফআইআর দায়ের করার কথা বলা হয়েছে। ইলেকট্রনিক নথিকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিচার করা হবে। প্রথমবারের জন্য গণপিটুনির মতো অপরাধকে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তি আরও কঠোর করার বিধান আছে নয়া ফৌজদারি আইনে। রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা বদলের কথা বলেও কার্যত আরও কড়া হয়েছে এই সংক্রান্ত আইন।