রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক। এবার দেশের মধ্যে টেলিমেডিসিন পরিষেবায় দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক দফতরের কাজের নিরীখে সেরা হয়েছে বাংলার সরকার। তবে স্বাস্থ্যের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা প্রমাণ করে কোভিডের ভয়ংকর সময়ে যখন উত্তর প্রদেশ সহ দেশের বেশিরভাগ এর রাজ্য রীতিমতো দিশাহীন অবস্থায় ছিল তখন বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার টেলিমেডিসিনের (TeleMedicine) মধ্যেম দিয়ে কোটি কোটি মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। ঐরকম ভংকর পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। তবে এই সাফল্য একদিনে আসেনি। এর পিছনে রয়েয়ছে সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম ও টিম গেম।
আরও পড়ুন – ছোটবেলার স্কুলে কমিটি-সভাপতি, ছেলেমেয়েকে স্কুলে ভর্তি গায়ক অরিজিতের
কোভিডের সময় তো বটেই, কোভিড পরবর্তী সময়েও চালু থেকেছে টেলিমেডিসিন (TeleMedicine) পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রীতিমতো কন্ট্রোল রুম খুলে রাজ্যের বাছাই করা ডাক্তারদের নিয়ে টিম তৈরি করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। নজরদারিতে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সর্বোপরী মুখ্যমন্ত্রী নিজে সবসময় খোঁজ রেখেছেন। দিনের পর দিন এভাবে সকলে মিলে কাজ করে যাওয়ায় এসেছে সাফল্য।
কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন কিছু নির্দেশ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কোভিডের জন্য রাজ্য সরকারকে কেনো অর্থ সাহায্যও করেনি। কোভিডের পরিকাঠামো তৈরি থেকে সেফহোম তৈরি করা, টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু সবটাই নিজেদের পরিকল্পনা ও খরচে করেছে রাজ্য সরকার । কোভিডের ভয়ংকর সময়ে রাজ্যের মানুষের পাশে থেকেছে তাদের সরকার। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে নদীতে লাশ ফেলার ছবি দেখেছে গোটা দেশ।