পথ দুর্ঘটনায় আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে উদ্ধারকারীকে যাতে কোনও ভাবেই হয়রান না হতে হয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সে-ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে। এ-ব্যপারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে সাত দফা গাইডলাইন তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় পরিষ্কার ভাবে হাসপাতালের বাইরে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পথ দুর্ঘটনায় আহত কোনও ব্যক্তিকে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাহায্যকারীকে আটকে রাখা যাবে না। নাম-ঠিকানা জানার পর তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে। কোনও ব্যক্তি যদি তা না জানাতে চান তবে তাঁকে জোর করা যাবে না। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারির বিধিতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। দুর্ঘটনা বা কোনও ব্যক্তির রাস্তায় পড়ে থাকার খবর পুলিশকে যদি কেউ ফোনে জানান, তবে তাঁর নাম ও ব্যক্তিগত তথ্য জানতে পুলিশ কোনও রকম জোর করতে পারবে না। দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হলে হাসপাতাল থেকে পুলিশকে পাঠানো রিপোর্টে উদ্ধারকারীর নাম দিতে গেলে তাঁর অনুমতি নিতে হবে। যদি হাসপাতাল বা পুলিশে সাহায্যকারীর নাম বা পরিচয় জানার জন্য জোরাজুরি করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও সংস্থান থাকছে।
হয়রানির ভয়ে অনেকেই আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়ে পিছিয়ে যান। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক ২০১৫ সালে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেয় এই নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে। কিন্তু নির্দেশিকা তৈরি করলেও তৃণমূল স্তরে তা নিয়ে তেমন প্রচার না হওয়ায় সচেতনতায় ফাঁক রয়ে গেছে বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা মনে করছেন। তাই এবার রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। যা হাসপাতালের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ও নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে প্রচার করা হবে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা ব্যক্তিকে ‘সুরক্ষা কবচ’ দেওয়ার জন্য এই নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন- সুন্দরবনে তৎপরতা শুরু বিপর্যয় মোকাবিলা দলের নদীপথে মহড়া, স্থলপথে চলছে মাইকিং