প্রতিবেদন : বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা বদলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বাড়ানো শুধু নয়, ডাক্তারি পড়ার আসনও বেড়েছে কয়েকগুণ। এই বাংলায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল বলে কিছুই ছিল না। বাম আমলে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ছিল দালালদের হাতে। এখন পরিষেবা পাল্টে গিয়েছে। আউটডোরের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে। পোর্টেবল কিয়স্কে মিলছে আউটডোরের টিকিট। সবথেকে বড় কথা, স্বাস্থ্যসাথীর বাইরেও বিনামূল্যে চিকিৎসা।
আরও পড়ুন-ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দিতে রাজি একাধিক ব্যাঙ্ক
এমনকী ওষুধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা হচ্ছে বিনামূল্যে। যা সারা দেশে সুনাম কুড়িয়েছে। তথ্য বলছে, বাম জমানায়, অর্থাৎ ২০১১ সালের আগে রাজ্যে ১০টি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। পরিবর্তনের সরকার এ-পর্যন্ত ৩৩টি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করেছে। বাম জমানায় রাজ্যে ডাক্তারি পড়ার আসনসংখ্যা ছিল ১,৩৫৫। ২০২২ সাল পর্যন্ত আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৮৫০। যা নতুন মাইলস্টোন। আগে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ধারণাই ছিল না বঙ্গবাসীদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এ-পর্যন্ত ৪২টি সুপাল স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে রাজ্যে। বাম জমানায় পশ্চিমবঙ্গে ৪,৮০০ ডাক্তার ছিলেন। মা মাটি মানুষের সরকার আসার পর ডাক্তারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮,২১৩। সম্প্রতি হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড আরও বেশি ডাক্তার নিয়েগের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন-১২ বছরের পুরনো রায় খারিজ, নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলেই এবার অপরাধী
আগে জেলায় ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা ছিল কম। এখন সেই ছবি বদলে গিয়েছে। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি এসেছে। বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা। বেড়েছে বেডের সংখ্যা। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে রোগ প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা। যাতে মানুষকে সচেতন করা যায়। স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় এজন্য ক্যাম্প করা হয়। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে জেনাম সিকোয়েন্সি পরীক্ষার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। তাতে চিকিৎসা দ্রুত হচ্ছে। কোভিড মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে, সরকারি উদ্যোগে স্বাস্থ্যে এ রাজ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে।