তিন বছরের বেশি এক দফতরে নয়

একঘেয়েমি আসাও বিচিত্র নয়। বাসা বাঁধতে পারে অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি। আসতে পারে একের পর এক অভিযোগ। বামজমানায় এই ঘটনা ঘটেছে হামেশাই।

Must read

প্রতিবেদন : কর্মসংস্কৃতিতে স্বচ্ছতা আনতে কলকাতা পুরসভায় চালু হচ্ছে নয়া বদলিনীতি। একই দফতরে বছরের পর বছর ধরে বহাল তবিয়তে থাকার দিন শেষ। অফিসে এসে কাজ না করে গল্পগুজব করে কাটিয়ে দেওয়ার দিনও শেষ। কোনও দফতরেই আর থাকা চলবে না একটানা ৩ বছরের বেশি। বদলি করা হবে অন্য দফতরে বা পুরসভারই অন্য কোনও অফিসে।

আরও পড়ুন-প্রতিষ্ঠা দিবসের পোস্টার প্রকাশ টিএমসিপির

নয়া বদলি নীতিতে বাস্তবায়িত হতে চলেছে কর্তৃপক্ষের এমনই ভাবনা। এখন শুধু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষা। পদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে পুরসভার সকল স্তরের কর্মীরাই আসবেন এই নয়া বদলিনীতির আওতায়। পুরসভায় কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে প্রথম থেকেই আন্তরিক আগ্রহ প্রকাশ করেছে মহানগরিক ফিরহাদ হাকিম। বুঝিয়ে দিয়েছেন, নাগরিক পরিষেবায় কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। আপস নয় দুর্নীতির সঙ্গেও। কর্তৃপক্ষের মতে, দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকলে সম্ভাবনা থাকে একটা চক্র গড়ে ওঠার। গতি হারায় কাজ।

আরও পড়ুন-ঘরের ছেলে তৃণমূল প্রার্থী

একঘেয়েমি আসাও বিচিত্র নয়। বাসা বাঁধতে পারে অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি। আসতে পারে একের পর এক অভিযোগ। বামজমানায় এই ঘটনা ঘটেছে হামেশাই। একটা সময় ছিল যখন কেন্দ্রীয় পুরভবন হয়ে উঠেছিল দুর্নীতির আখড়া। তলানিতে এসে ঠেকেছিল পুরসভার কর্মসংস্কৃতি। দিনের পর দিন নানা অজুহাতে ঘোরানো হত নাগরিকদের। বিভিন্ন দফতরে সমস্যার সমাধানের আশায় এসে অনেকে হেনস্থারও শিকার হতেন। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে বদলে গিয়েছে ছবিটা। শক্ত হাতে হাল ধরেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নয়া বদলি নীতি তারই প্রতিফলন।

Latest article