প্রতিবেদন : রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়ে ফেব্রুয়ারিতেই পদ ছাড়বেন বলে ঘোষণা করলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন (PM Jacinda Ardern)। শুধু পদ ছাড়াই নয়, ভবিষ্যতে নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করতে চান না বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তবে হঠাৎই কী কারণে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা এবং রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত তা অবশ্য জানাননি জেসিন্ডা। শুধু বলেছেন, সরে যাওয়ার এটাই ঠিক সময়।
বুধবার লেবার পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের এক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পরেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগের আগাম ঘোষণা করেন জেসিন্ডা (PM Jacinda Ardern)। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিও আর পাঁচজনের মতো একজন মানুষ। তাই আমি ততটাই করতে পারি যতটা আমার পক্ষে করা সম্ভব। আমি একটা বড় দায়িত্বের পদে রয়েছি। সেই দায়িত্ব থেকে কখন সরে যাওয়া উচিত সেটাও আমি জানি। আমার জন্য সরে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়। একই সঙ্গে জেসিন্ডা জানান, ভবিষ্যতে তিনি আর দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তবে জেসিন্ডার দাবি, আগামী নির্বাচনে তাঁর দল হারতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে তিনি পদত্যাগ করছেন এমনটা আদৌ নয়। তাঁর পূর্ণ বিশ্বাস আছে যে, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল লেবার পার্টিই ক্ষমতায় ফিরবে।
আরও পড়ুন-চিন নয়, বিশ্বের জনবহুল দেশ ভারত : রিপোর্ট
সূত্রের খবর, ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই পদত্যাগ করতে চলেছেন জেসিন্ডা। দলের কোনও চাপের কারণেই কি তাঁকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে? এই প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দেননি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। স্মিত হেসে জানান, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে কোনও রহস্য নেই। লেবার পার্টি সূত্রে খবর, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য আগামী রবিবার দলের সদর দফতরে ভোট গ্রহণ হবে। ওই দিন যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিউজিল্যান্ডে যথেষ্টই জনপ্রিয় ছিলেন জেসিন্ডা। তাই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরে দাঁড়ানো এবং নির্বাচন না লড়ার এই সিদ্ধান্তে তাঁর দল কতটা সমস্যায় পড়ে সেটা দেখার। উল্লেখ্য, গতবার জেসিন্ডার নেতৃত্বে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল লেবার পার্টি।