নয়াদিল্লি : পরম্পরা? নিক্কি যাদব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাহিলের বাবাও ২৫ বছর আগে একটি খুনের মামলায় জেলে গিয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে গ্রাম্য বিবাদের জেরে খুনের অভিযোগ ওঠে সাহিলের বাবা বীরেন্দ্র গেহলটের বিরুদ্ধে। বীরেন্দ্রকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। যদিও পরে হাইকোর্ট তাঁকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন-দেশের সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গদাতা কেরলের দেবনন্দা
নিক্কি যাদব হত্যা মামলায় ১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি পুলিশ সাহিলের বাবা বীরেন্দ্র, দুই তুতো ভাই আশিস ও নবীন এবং দুই বন্ধু অমর ও লোকেশকে গ্রেফতার করে। নিক্কি হত্যা মামলার বিষয়টি এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। পুলিশের মনে করছে, সাহিল নিক্কি যাদবকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল না। সাহিলের পরিবার চেয়েছিল, সে তাদের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করুক। যদিও সাহিলের পরিবারের সদস্যরা তাদের ছেলের সঙ্গে নিক্কির বিয়ের কথা জানত। পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর আগে একটি মন্দিরে সাহিল ও নিক্কির বিয়ে হয়েছিল। নিক্কি তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিয়েতে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। কিন্তু জাতপাতের কারণে এই বিয়ে নিক্কির পরিবারও মেনে নেননি। এ ব্যাপারে তাঁদের জবানবন্দিও রেকর্ড করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, খুনের দু’দিন পর নিক্কির বাবা তাঁর মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারলে তিনি সাহিলের ফোন নম্বরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।