দেশের সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গদাতা কেরলের দেবনন্দা

লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন বাবা। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া তাঁকে বাঁচানোর আর কোনও পথ নেই।

Must read

প্রতিবেদন : লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন বাবা। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া তাঁকে বাঁচানোর আর কোনও পথ নেই। কিন্তু হাজার খুঁজেও কোথাও লিভার দাতা পাওয়া যায়নি। তাই নিজের লিভারের অংশ দান করে বাবার প্রাণ বাঁচাল ১৭ বছরের নাবালিকা মেয়ে। তবে এর জন্য তাকে পেরোতে হয়েছে আইনি বাধা। কিন্তু আদালতের নির্দেশ মেলার পর এখন ১৭ বছরের কিশোরী দেবনন্দাই দেশের সর্বকনিষ্ঠ অঙ্গদাতা ।

আরও পড়ুন-লোকাল ট্রেনে গার্ডের ভূমিকায় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর

কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা ৪৮ বছর বয়সি পি জি প্রতীশ। দীর্ঘদিন ধরে পা ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পরীক্ষার পর ধরা পড়ে, লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, লিভার প্রতিস্থাপনই তাঁকে বাঁচানোর শেষ উপায়। শুনে মাথায় হাত পড়ে প্রতীশের স্ত্রী ধান্য এবং দুই সন্তান দেবানন্দা এবং আদিনাথের। বিপুল খরচ ছাড়া দাতা পাওয়াও বড় সমস্যা! অনেক খুঁজেও কোনও অঙ্গদাতার সন্ধান মেলেনি। শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসে প্রতীশের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে দেবানন্দা। চিকিৎসকদের কাছে সে বাবাকে লিভার দান করার কথা জানায়। চিকিৎসকরা পাল্টা জানান, তাতে আইনি বাধা আছে। কারণ ভারতীয় আইন অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স না হলে কেউ অঙ্গদান করতে পারে না।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের আর্থিক অসহযোগিতার বিরুদ্ধে তোপ চন্দ্রিমার, বাজেট ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে রাজ্য

এরপরেই বিষয়টি নিয়ে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় দেবানন্দা। কিশোরীর আর্জি শুনে শেষ পর্যন্ত আদালত বাবাকে নিজের লিভারের অংশ দান করার অনুমতি দেয় দেবানন্দাকে। অনুমতি মিলতেই ৯ ফেব্রুয়ারি রাজাগিরি হাসপাতালে চিকিৎসক রামচন্দ্র নারায়ণা মেননের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। মেয়ের লিভারের অংশ পেয়ে নতুন জীবন পেলেন প্রতীশ।

Latest article