প্রতিবেদন : পঞ্চভূতে বিলীন হলেন নির্মলা মিশ্র (Nirmala Mishra)। রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় রবিবার সন্ধ্যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। চোখের জলে তাঁকে শেষবিদায় জানান গুণমুগ্ধরা। শনিবার মধ্যরাতে নিজ বাসভবনেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮১ বছর বয়সি এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শোকবার্তায় বলেছেন, ‘বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী নির্মলা মিশ্রর (Nirmala Mishra) প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তিনি গভীর রাতে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। নির্মলা মিশ্রের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে সংগীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি নির্মলা মিশ্রর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এদিন তিনি আরও লেখেন, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কণ্ঠের জাদুতে তিনি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। তাঁর গাওয়া এই বাংলার মাটিতে, এমন একটি ঝিনুক খুঁজে পেলাম না, ও তোতা পাখি রে-র মতো অজস্র কালজয়ী গান আজও শ্রোতাদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে। আধুনিক, নজরুলগীতি, শ্যামাসংগীত, দেশাত্মবোধক, লোকগীতি ছাড়াও বহু ছায়াছবিতে তিনি গান গেয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদ ও বাংলা সংগীতমেলা কমিটির কার্যকরী সমিতির সদস্যা ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১২ সালে ‘সংগীতসম্মান’ এবং ২০১৩ সালে ‘সংগীত মহাসম্মান’ ও ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মাননা প্রদান করে।’ সারারাত দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নির্মলা মিশ্রের মরদেহ রাখার পরে রবিবার সকালে নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রসদনে। সকাল ১১টা থেকে নির্মলা মিশ্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদন চত্বরে হাজির হন সংগীত জগতের একাধিক শিল্পী। দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, পূর্ণদাস বাউল উপস্থিত ছিলেন। শিল্পীর বহু গুণমুগ্ধ ভক্তও রবীন্দ্রসদন চত্বরে ভিড় জমিয়েছিলেন। রবীন্দ্রসদন থেকে শিল্পীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্য সংগীত আকাদেমিতে।
আরও পড়ুন: ১০ কোটি টাকার ডিল ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলতে, টোকেন মানি ছিল কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে! আক্রমণ তৃণমূলের