প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বাজেটের উপরে জবাবি ভাষণে বাংলা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কুৎসার জবাব দিল রাজ্য সরকার। বাংলা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর তিনটি বক্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে। জিএসটি ক্ষতিপূরণ, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খরচ ও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এদিন তিনটি অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন-কমলাপুর ও কদমতলা-কুর্তিতে পরপর দুটি বিশাল সভা
নির্মলার অভিযোগ ১ : ২০১৭-১৮ থেকে ২১-২২ পর্যন্ত রাজ্য যে অঙ্কের জিএসটি ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে তার সপক্ষে নিয়ম অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয়নি।
রাজ্যের জবাব : জিএসটি চালু হওয়ার পর মাত্র দু’বছরের জন্য (২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯) সম্পূর্ণ বা নিট রাজস্ব ক্ষতির ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বাকি বছরগুলো অর্থাৎ (১৯-২০, ২০-২১, ২১-২২ এবং এপ্রিল ১- ৩০ জুন ২০২২) ক্ষতিপূরণ হিসাব করা হয়েছে গ্রস অর্থাৎ অন্যান্য খরচ, কর ইত্যাদি বাদ দিয়ে। দুই ক্ষেত্রের মধ্যে অঙ্কের এই পার্থক্য এজির রিপোর্টে স্পষ্ট হয়নি। নিট রাজস্ব ক্ষতি বিবেচনা করে, কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া ২,৪০৯.৯৬ কোটি টাকা।
নির্মলার অভিযোগ ২ : নির্বাচন সহ বিভিন্ন উপলক্ষে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যার খরচ বাবদ রাজ্যের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের পাওনা ১৮৪১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন-প্রবল কটাক্ষ সমালোচনায় প্রত্যাহার গরু আলিঙ্গন দিবস
রাজ্যের জবাব : বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বা মতামত নেওয়া হয়নি। ভোটের পরেও দীর্ঘ সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে। কাজেই এই খরচ কেন্দ্রেরই বহন করা উচিত। একই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, মাওবাদী সমস্যা একটি জাতীয় সমস্যা। কাজেই জঙ্গলমহলে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার জন্য যে টাকা খরচ হচ্ছে সেই খরচ বহন করা উচিত কেন্দ্রেরই।
আরও পড়ুন-রেকর্ড সময়ে টেটের ফল, পাশ দেড় লক্ষের বেশি, প্রথম ইনা
নির্মলার অভিযোগ ৩ : গ্রাম সড়ক যোজনায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ খরচের হিসাব দেয়নি রাজ্য।
রাজ্যের জবাব : প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার প্রথম পর্বে বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বরাদ্দ খরচের হিসেব নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে প্রথম পাঠানো হয়। এরপরে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের বরাদ্দ খরচের হিসাব আবার নতুন করে পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ওই হিসাব পাঠানো হয়েছিল। ই-মেলের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের জবাব চাওয়া হয়েছিল। জবাবও দেওয়া হয়েছিল ই-মেলের মাধ্যমেই। এরপরে আর কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন করে কোনও হিসাব চাওয়া হয়নি।