কমলাপুর ও কদমতলা-কুর্তিতে পরপর দুটি বিশাল সভা

তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেই এক মাসের মধ্যে চালু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ত্রিপুরাবাসী প্রত্যেক মহিলার অ্যাকাউন্টে মাসে ১ হাজার টাকা করে ঢুকবে

Must read

প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেস জিতলেই এক মাসের মধ্যে চালু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ত্রিপুরাবাসী প্রত্যেক মহিলার অ্যাকাউন্টে মাসে ১ হাজার টাকা করে ঢুকবে। শুক্রবার ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বললেন, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। ২০২৩-এ সরকার বদলাবে। প্রত্যয়ী ঘোষণা অভিষেকের। শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে ত্রিপুরায় আবারও প্রচারে ঝড় তোলেন অভিষেক৷ এদিন কমলাপুর ও কদমতলা-কুর্তিতে পরপর দুটি প্রচারসভা করেন তিনি। দুটি সভাতেই বিজেপিকে তুলোধোনা করেন অভিষেক। গত ২৫ বছরে সিপিএম ত্রিপুরার যা ক্ষতি করেছে বিজেপি শেষ ৫ বছরে তার থেকে বেশি ক্ষতি করেছে। এদিন দুটি সভাতেই ছিল উপচে পড়া ভিড়।

আরও পড়ুন-প্রবল কটাক্ষ সমালোচনায় প্রত্যাহার গরু আলিঙ্গন দিবস

আসছে সুযোগ বদলে দিন : আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি আসছে সুযোগ। এই সুযোগ হারালে আগামী ৫ বছর আর পাবেন না। জোট বাঁধুন, এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান। সরকার বদলে দিন। ত্রিপুরায় নতুন সূর্য উঠবে। কমলাপুরে বললেন,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জিতলে এক মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার : ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতলে ফল বেরনোর এক মাসের মধ্যেই চালু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প৷ ত্রিপুরার সাড়ে ছয় লক্ষ গৃহকর্ত্রী মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন, প্রতিশ্রুতি অভিষেকের।

আরও পড়ুন-রেকর্ড সময়ে টেটের ফল, পাশ দেড় লক্ষের বেশি, প্রথম ইনা

বিজেপি জিতলে দাম বাড়বে : এবার যদি আবার বিজেপি জেতে তাহলে ত্রিপুরায় সব জিনিসের দাম বাড়বে। বাংলায় হেরেছে বলে ত্রিপুরায় ৫ টাকা করে তেলের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু জিতলে আবার দাম বাড়াবে। ভোটের আগে এক, ভোটের পরে আর-এক। এটাই বিজেপির চরিত্র, তোপ অভিষেকের।
২০২২-এ মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে ২০২৩-এ সরকার বদলাবে : গত বছর বলেছিলাম বিপ্লব দেব আসলে বিগ ফ্লপ দেব। এরপর বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকেই বদলে দিল। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবার ২০২৩-এ বিজেপি সরকারটাই বদলে যাবে। বাংলা রুখে দিয়েছে বিজেপিকে আপনারাও পারবেন, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন-পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিতে যুগান্তকারী একাধিক পরিবর্তন এনেছে পর্ষদ : শিক্ষামন্ত্রী

বিভাজনের রাজনীতি করে না তৃণমূল : বিজেপি মানেই বিভাজন-সাম্প্রদায়িকতা। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘৃণ্য বিভাজনের রাজনীতি করে না। উন্নয়ন তো দূর অস্ত্— এই করতে গিয়ে গত ২৫ বছরে সিপিএম যা ক্ষতি করেছে, বিজেপি তার থেকেও বেশি ক্ষতি করেছে। ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা। একমাত্র বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেস।
বাংলার সব প্রকল্প ত্রিপুরায় : তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বাংলায় যেসব প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরাতেও চালু হবে। হবে বিশ্ববিদ্যালয়ও।
ত্রিপুরাবাসীই ত্রিপুরা চালাবে : দিল্লি কিংবা গুয়াহাটি থেকে নয় ত্রিপুরার ভূমিপুত্ররাই ত্রিপুরা চালাবে৷ বাইরে থেকে কারও অঙ্গুলিহেলনে ত্রিপুরা চলবে না।

আরও পড়ুন-ভারতে এবার মিলল লিথিয়াম খনির সন্ধান

তৃণমূলের ঝাঁজ আরও বাড়বে : ধমকে-চমকে লাভ হবে না। এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। ক্ষমতা থাকলে বিজেপি আটকে দেখাক! চ্যালেঞ্জ অভিষেকের। নির্বাচনের পর ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাঁজ আরও বাড়বে। স্পষ্ট বক্তব্য তাঁর।
৫ বছরের কাজের হিসেব নিন : আজ যেখানে সভা করছি হিম্মত থাকলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি এখানে সভা করে দেখাক। গত পাঁচ বছরে কী কাজ করেছে তার হিসেব দিক। আপনি আপনার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসবেন, বাংলায় কী কাজ হয়েছে আমি রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসব। তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুন-হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে বর্ণময় পথ নিরাপত্তা প্রচার

তৃণমূলের ইস্তাহার অনুসরণ করছে বিজেপি : গত সপ্তাহে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছি আমরা। অন্য রাজনৈতিক দলের থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারে তফাত আছে৷ এখন দেখছি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মডেলকেই ফলো করছে বিজেপি। কারণ ত্রিপুরায় তো পরিকাঠামো বলে কিছুই নেই। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-চিকিৎসা— কিছুই নেই।
তৃণমূল ত্রিপুরাবাসীর পাশে থাকবে : যতই আমাদের ওপর আক্রমণ করুক। গাড়ি ভাঙচুর করুক। আমরা মাটি কামড়ে ত্রিপুরায় পড়ে থাকব। আমি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কথা দিচ্ছি আমার শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত আমি আপনাদের পাশে থাকব। তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের পাশে থাকবে। শুধু আপনারা সহযোগিতা করবেন। ত্রিপুরায় নতুন সূর্য উঠবে, বিশ্বাস রাখুন।

Latest article