প্রতিবেদন : জোটশরিক বিজেপির সঙ্গে সত্যিই কি দূরত্ব বাড়াচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্নেই আপাতত সরগরম বিহারের রাজ্যরাজনীতি। যার রেশ পড়েছে দিল্লিতেও। নীতীশ সম্প্রতি বেসুরে বাজছেন, যা চাপে রেখেছে মোদি-শাহ জুটিকে। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বহুদিন ধরেই দাবি করছিলেন, জাতিভিত্তিক জনগণনা করা উচিত। প্রয়োজনে সরকার এই বিষয়ে আলোচনা করুক। না-হলে প্রয়োজনে দিল্লি পর্যন্ত এই দাবিতে আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছবে।
আরও পড়ুন-করোনা রুখতে অনন্য ভূমিকা, আশাকর্মীদের সম্মান জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
তেজস্বীর তির ছিল বিজেপির দিকে। কারণ, বিজেপি জাতিভিত্তিক জনগণনার বিরোধী। এদিন প্রকারান্তরে তেজস্বীর দাবিকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন নীতীশ। জোটশরিক বিজেপিকে পথে বসিয়ে সোমবার নীতীশ ঘোষণা করেছেন, জাতিভিত্তিক জনগণনার বিষয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে। খবর, এই ঘোষণা করার আগে তেজস্বীর সঙ্গে নাকি কথাও হয় নীতীশের৷ বিরোধী শিবিরের তেজস্বীর সঙ্গে বিজেপি জোটের মুুখ্যমন্ত্রীর এই সদ্ভাবে স্বভাবতই প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি। সম্প্রতি লালুপুত্র তেজস্বীর ইফতার পার্টিতেও হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিহারে বরাবরই ভোটের সমীকরণ ঘোরাফেরা করে জাতপাতের অঙ্কে। বড় ইস্যু হয়ে ওঠে জাতভিত্তিক দাবিদাওয়া, উন্নয়ন। সম্প্রতি নানা মহলে দাবি উঠেছে, বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা করতে হবে। অর্থাৎ, রাজ্যে কোন জনজাতির কতজন নাগরিক রয়েছেন, তার সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে সরকারের কাছে। বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদবও এই দাবি তুলেছেন। বিজেপি এই দাবির উলটো অবস্থানে রয়েছে।