পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দেখানো পথে হেঁটেই সিবিআই তদন্তে অনুমতি প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে বিহারের নীতীশ কুমার সরকার। রাজ্যের মহাজোট সরকারের সিদ্ধান্ত, সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ অনুমতি বা জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
দিল্লি পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের ৬ নম্বর ধারার বলে প্রতিষ্ঠিত সিবিআই। ওই ধারায় বলা আছে, কোনও রাজ্যে তদন্তের জন্য সিবিআইকে সেই রাজ্যের সরকারের আগাম অনুমতি নিতে হবে। এটাই হল জেনারেল কনসেন্ট।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে মিলল না শববাহী গাড়ি, মৃত ভাইয়ের দেহ নিয়ে বাড়ির পথে দাদা
গত বুধবার সিবিআই ও ইডি একযোগে বিহারে শাসক জোটের প্রধান শরিক রাষ্ট্রীয় জনতা দলের একাধিক নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ওই দিনই নয়ডায় বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের একটি মলে হানা দেয় সিবিআই। যদিও সিবিআই তল্লাশির কথা অস্বীকার করেছেন তেজস্বী। তবে সিবিআইয়ের অন্তত ছ’টি মামলায় তেজস্বী-সহ লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের সদস্যের নাম আছে। যার মধ্যে স্বয়ং লালুর নাম আছে তিনটিতে। ওই ঘটনার পরই জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের প্রধান দুই শরিক আরজেডি ও জেডিইউ সহমত হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
আরও পড়ুন-অবিবাহিত, সমকামী যুগলদের সম্পর্কও পরিবার হিসাবে গণ্য, সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সহ ৭টি রাজ্য আগেই এই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়। মহারাষ্ট্রের আগের সরকারও অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। একনাথ শিন্ডে ক্ষমতায় আসার পর সেই অনুমতি ফেরানো হয়েছে। অবশ্য, এই অনুমতি না থাকলে সিবিআই যে তদন্ত করতে পারবে না তা নয়। কেন্দ্রীয় সরকার এবং আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করতেই পারে। তবে জেনারেল কনসেন্ট প্রত্যাহার করে নিলে সিবিআইকে তদন্তে সহায়তা করার কোনও দায়িত্ব রাজ্য সরকারের থাকে না। বিহারে আরজেডির শীর্ষ নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি বলেছেন, ‘মোদি সরকার বিরোধীদের হেনস্তা করতেই ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরকে ব্যবহার করছে। তাই তাদের সহযোগিতা করব না আমরা’।