প্রতিবেদন : রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না৷ এই আপ্তবাক্যের সত্যতা ফের প্রমাণ হল বিহারে। প্রায় ৫ বছর আরজেডি ও জেডিইউ বিহারের এই দুই দল ছিল পরস্পরের শত্রু। বিপরীত মেরুর আরজেডির সঙ্গে এবার ফের একবার হাত মেলালেন নীতীশ কুমার৷ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডিকে নিয়ে বিহারে নতুন সরকার গড়ছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা হিসেবে নীতীশ সরকারের কট্টর সমালোচক তেজস্বী যাদব হতে চলেছেন বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী, অর্থাৎ নীতীশের ডেপুটি ৷ শুধু তাই নয়, তেজস্বীর হাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ছাড়তে হচ্ছে নীতীশকে। ২০১৭ সালে এই তেজস্বীর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির কড়া অভিযোগ তুলে লালুপ্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল জেডিইউ। গত কয়েক বছর পরস্পরের প্রতি তীক্ষ্ণ বাক্যবাণ ছিল অব্যাহত।
আরও পড়ুন-হাসপাতাল গড়তে ৫০ লাখ টাকা দিলেন বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবার
শেষপর্যন্ত পরিস্থিতির চাপে অবস্থা বদলাতে চলেছে। বিহারে বিজেপির দাদাগিরি ও অসম্মানের চাপে অতিষ্ঠ নীতীশ গত কয়েক মাস ধরে মোদি-শাহের দলের সঙ্গে স্পষ্টভাবে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন। উল্টে, যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে তেজস্বীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। পরিস্থিতি সর্বতোভাবে অনুকূল হতেই বিজেপির হাত ছেড়ে নয়া জোটে শামিল হল জেডিইউ। নতুন সরকারেও মহাজোটের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে নীতীশকেই৷ তিনিই ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। গতবারের মতোই লালুর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব হচ্ছেন উপমুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-১২ বিধায়ক নিয়ে বাইরে থেকেই সমর্থন দেবে সিপিআইএমএল
লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবও মন্ত্রিসভায় থাকছেন বলে খবর৷ বিধানসভার অধ্যক্ষের পদটিও সম্ভবত আরজেডি-ই পাচ্ছে৷ তবে মন্ত্রিসভায় আরজেডি-র যে কয়েকজনই থাকুন না কেন, কে কোন দফতর পাবেন সে বিষয়ে নীতীশই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে ৷