প্রতিবেদন : বুধবার ইন্ডিয়া জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হল লোকসভায়। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন কংগ্রেসের সাংসদ গৌরব গগৈ (ইন্ডিয়া জোটের হয়ে) এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতির সাংসদ নাগেশ্বর রাও। প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ইন্ডিয়ার দাবি, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বিবৃতি দিন।
আরও পড়ুন-যমুনাতে জালে ডলফিন, রান্না করে খাওয়ায় মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
২৬টি দলের পক্ষ থেকে সাংসদ গৌরব গগৈ অনাস্থা আনার পর স্পিকার ওম বিড়লা সেটি নিয়ে আলোচনার অনুমোদন দেন। স্পিকার জানিয়েছেন, তিনি আলোচনার তারিখ পরে জানিয়ে দেবেন। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিও আলাদা করে একটি অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছে। তৃণমূল লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিয়ম হল ৫০ জন সাংসদ মিলে প্রস্তাব জমা করলে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। ১০ দিনের মধ্যে স্পিকারকে জানাতে হবে আলোচনার তারিখ। অনাস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য দিনক্ষণ ঘোষণার অপেক্ষায় আমরা রয়েছি। অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনা হলে সংসদের নেতা তথা সরকার-প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দেওয়াটাই সংসদীয় রীতি। ফলে নরেন্দ্র মোদি মণিপুর নিয়ে নীরব থাকলেও অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনার জন্য তাঁকে বলতেই হবে। বুধবার দিল্লিতে দলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সৌগত রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। সৌগত রায় বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা একদিনও প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে দেখতে পেলাম না। ২০২১ সালে মাত্র চার ঘণ্টা তিনি সংসদে ছিলেন। সেই বছরই বাংলায় ভোট প্রচারে দৈনিক চার ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী দেশের সংসদকে উপেক্ষা করছেন। মণিপুর নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেননি।
আরও পড়ুন-রেকর্ড বইয়ে নাম দশ বছরের অহর্ষির, ৩০ সেকেন্ডে ২৩ পশুপাখির ডাক
তাই এদিন অনাস্থা আনার পাশাপাশি আজ, বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ের সাংসদরা সকলে কালো পোশাক পরে সংসদে যাবেন। বুধবার অনাস্থা প্রস্তাব আনার সময় সব বিরোধী সাংসদই উঠে দাঁড়িয়ে প্রস্তাবের সমর্থন জানান। মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভা। চলতি অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং ও কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাটিলের সঙ্গে ধরনাস্থলে দেখা করেন সোনিয়া গান্ধী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুধবার সংসদে সাংবাদিকদের জানান, দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল সোমবার সংসদে পেশ করা হবে।