সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : উপাচার্যের ঔদাসীন্যে ঐতিহ্যমণ্ডিত মাঘমেলা হল না শ্রীনিকেতনে। শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠাবার্ষিক উৎসব হল মেলা ছাড়াই। মেলায় বরাবরই ভিড় জমান দেশ-বিদেশের পর্যটকরা। চলে তিনদিন। ৯৭ বছর আগে কবিগুরু গ্রামবাংলার কৃষিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এই মেলার সূচনা করেন। সেই সময় কৃষকেরা নিজেদের মধ্যে মত-বিনিময় করতেন মেলায়। সেই ধারা ব্যাহত হল।
আরও পড়ুন-তৃণমূলকর্মীর বাড়ি পোড়াল বিজেপি
১২ সাল থেকে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট দায়িত্ব নেয়। এবার তাদের দিকে আঙুল তুলে দায় ঝেড়ে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। মেলার অন্যতম আকর্ষণ কৃষিপ্রদর্শনী। শুধু বীরভূম নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষিজীবী মানুষজন অংশ নিতেন। সমাবর্তন উৎসবের মতো এই উৎসবে শিল্পসদনের পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র দেওয়া হয়। এদিন উৎসব শুরুর আগে প্রতিটি ভবনের প্রধানরা বিভাগীয় প্রতিবেদন পাঠ করেন। মেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষজন হাতে তৈরি জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন। এবার তা হয়নি। ছিলেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় অন্ধ্রপ্রদেশের উপাচার্য টি ভি কাট্টিমানি, প্রধান অতিথি আইএসআই প্রাক্তন অধিকর্তা পদ্মশ্রী শঙ্করকুমার পাল। মাঘমেলা দেখতে না পাওয়ায় ওঁরা আক্ষেপ করেন। দায় ঝেড়ে ফেলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, এই মেলা যাদের করার কথা, তারা এগিয়ে না আসায় হল না।