বেঙ্গালুরু, ১১ এপ্রিল : গত কয়েক মরশুমে দু’জনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং কুৎসিত বিবাদের জেরে আইপিএলের মঞ্চে বিতর্কিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবারও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবি-কেকেআর ম্যাচে বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যে উত্তেজক লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু কোথায় কী! এবারের আইপিএলে আরসিবি-র ঘরের মাঠে উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে। বিরাট ও গম্ভীর পরস্পরকে আলিঙ্গন করেছেন, হাসি মুখে কথা বলেছেন। এই দৃশ্য দেখে অনেকে অবাক হয়েছিলেন। এবার গম্ভীরের সঙ্গে আলিঙ্গন নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট। জানালেন, তাঁর আচরণে মানুষ খুব হতাশ হয়েছেন। কারণ, এতে মশলা নেই।
আরও পড়ুন-ভয়াবহ দুর্ঘটনা, স্কুল বাস উল্টে প্রাণ হারাল ৬ শিশু
একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বিরাট বলেছেন, ‘‘আমার ব্যবহারে মানুষ খুব হতাশ হয়েছে। এর আগে আমি নবীনকে (নবীন উল হক) জড়িয়ে ধরেছিলাম। আর সেদিন তো গোতি ভাইও আমাকে জড়িয়ে ধরল। ফলে মশলা আর নেই। তাই মানুষ হতাশ হয়েছে আমার উপর।’’ সমাজমাধ্যমে বিরাটের এই মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে। বিরাট যেভাবে নিজের ফিটনেস দিয়ে বাকিদের কাছে একটা মানদণ্ড তৈরি করে দিয়েছেন, তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বোর্ডের নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান অজিত আগারকর। ফিটনেস ঠিক রাখতে খাদ্যাভাসে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখেন, সে প্রসঙ্গে বিরাট বলেছেন, ‘‘ফিটনেস ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ হল খাবারে নিয়ন্ত্রণ। জিমে গিয়ে পরিশ্রম করা যায়। কিন্তু খাবারের ব্যাপারটা আলাদা। আমি কঠোর ডায়েট করি। একই জিনিস টানা ছ’মাস খেতে পারি এবং তা দিনে তিনবার করে।’’ জাতীয় দলে রোহিত শর্মার সঙ্গে দীর্ঘ সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিরাট বলেছেন, ‘‘খেলোয়াড় হিসেবে রোহিতের উন্নতি সামনে থেকে দেখেছি। রোহিত শর্মা ওর কেরিয়ারে যা করেছে এবং এখন ভারতীয় দলকেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা দু’জনে ১৫-১৬ বছর খেললাম। দীর্ঘ এই যাত্রার অভিজ্ঞতা অসাধারণ।’’
আরও পড়ুন-এবছরই প্রথম ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন রাজ্যের, মিলল কমিশনের অনুমতি
শুভমন গিল ও ঈশান কিশানের বন্ধুত্ব নিয়েও মুখ খুলেছেন বিরাট। সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেছেন, ‘‘দু’জনকে আলাদা করা খুব মুশকিল। আমাদের টিমের ‘সীতা আউর গীতা’। বিশেষ করে বিদেশ সফরে ওদের দু’জনকে আলাদা রাখা যায় না। যদি আমি বাইরে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে যাই। গিল আর ঈশান ঠিক একসঙ্গে সেখানে পৌঁছে যাবে। কোনও আলোচনার টেবিলেও ওদের দু’জনকে একসঙ্গে পাওয়া যাবে। আমি ওদের দু’জনকে একা কখনও দেখিনি। দু’জনের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব।’’