প্রতিবেদন : শীত পড়তে না পড়তেই রাজ্যের সর্বত্র নলেন গুড়ের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। এই গুড়ের প্রধান উপকরণ খেজুর রস। এ সময় গাছ থেকে রস সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকেন শিউলিরা। প্রত্যন্ত পুরুলিয়া জেলায় খেজুর গুড়ের কারবারে যুক্ত বেশ কিছু মানুষ। শীতের শুরুতেই গুড়ের চাহিদা তৈরি হওয়ায় ব্যস্ততা শুরু হয়েছে তাঁদের মধ্যেও। আগে থেকেই তাঁরা শিউলিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রসের জোগান পেতে চুক্তি করে রাখেন। রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় পাটালি, ঝোলা গুড়, দানা গুড়।
আরও পড়ুন-পুলিশের তরফে শারদ সম্মান
নিতুরিয়া থেকে পুরুলিয়া যাওয়ার পথে খেজুরের ডাল দিয়ে অস্থায়ী বাড়ি বানিয়ে গুড়ের ব্যবসায়ীদের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল যথারীতি। ক্রেতাদের জন্য খুলে গেছে গুড়ের দোকানগুলি। গুড়বিক্রেতারা জানান, ভোর তিনটে নাগাদ গাছ থেকে রস সংগ্রহের পর প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তা ফুটিয়ে গুড় তৈরি হয়। দামের তারতম্য নির্ভর করে রসের সঙ্গে মেশানো চিনির পরিমাণ অনুযায়ী। গুড় কারবারিরা জানান, এখনও শীত সেভাবে শুরু হয়নি। ফলে রসের জোগানও খুব কম। তাই এখন যে পরিমাণ চাহিদা তত গুড় জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ভাল করে শীত পড়লে রস ও গুড়েরও জোগান বাড়বে। প্রতিবেশী জেলা, কলকাতা-সহ অন্যান্য জায়গা থেকে পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা নলেন সংগ্রহ করে নিয়ে যান। ঝাড়খণ্ড থেকেও অনেকে আসেন গুড় কিনতে। আগামী তিন মাস এই ব্যবসা চলবে বলে জানান গুড় ব্যবসায়ীরা।