শান্তনু বেরা, বালিসাই: দিঘা যাওয়ার রাস্তায় রামনগরের বালিসাইর ভূঞাগড়। এখানকার জমিদারবাড়ির পুজো প্রায় ৩৩০ বছরের পুরনো। জমিদারি আরও কয়েকশো বছর পুরানো। ওয়ারেন হেস্টিংস প্রতি বছরই এখানে আসতেন ছুটি কাটাতে। জমিদারির সেই জৌলুস কিংবা প্রতিপত্তি এখন ফিকে হয়েছে, তার প্রাচীন সব অট্টালিকার মতোই। সেই সুবিশাল ঠাকুর দালান, নাটমন্দির, টেরাকোটার শিল্পখচিত রাসমন্দির, জমিদারি তোরণ, শিবমন্দির, ভাঙাচোরা জমিদারি হাভেলি আপনাকে পৌঁছে দেবে বহু বছর পেছনে।
আরও পড়ুন-সন্তোষে জয় দিয়ে শুরু করল বাংলা
এক সময় এই এলাকা ছিল ওড়িশার মহারাজার অধীনে। পুরীর মহারাজা সেনাপতি বিশ্বনাথ দাসকে এই ভূঞাগড়ের জমিদার করে পাঠান। তিনিই হলেন ভূঞ্যাগড়ের জমিদারির আদিপুরুষ। প্রায় ৩৩০ বছর আগে এই পুজো শুরু করেছিলেন জমিদার অক্ষয়নারায়ণ দাস মহাপাত্র। এক সময় দুটি কামান দেগে অষ্টমীর ঘট উঠত এখানে। সেই দুটি কামান আজও জমিদারির শোভা বর্ধন করছে। এলাকা ঘন জনবসতিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে কামান দাগা। তবে পুরীর বিমলাক্ষী মন্দিরের নিয়মানুযায়ী আজও ‘মহামারী’ মতে মহিষাসুরমর্দ্দিনী মায়ের পুজো হয় এখানে। পুজোর ১৫ দিন আগে ঘট ওঠে। প্রতিপদের দিন আরও একবার ঘটোত্তোলন হয়। ষষ্ঠীতে হয় বেলানিবাসের ঘট উত্তোলন। সাধারণ দুর্গাপুজোর মতো এখানে সন্ধিপুজো হয় না। অষ্টমী ও নবমীর মাঝে ভোররাতে মায়ের আরাধনা করা হয়। সাধারণত সুনির্দিষ্ট ছাঁচ থেকে দুর্গতিনাশিনী মায়ের মুখ তৈরি করেন মৃৎশিল্পীরা।