বাংলার তরফে যখন মনরেগার পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে দিল্লিতে কর্মসূচীর (Delhi TMC Dharna) শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে ঠিক সেই সময় কার্যত উধাও কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং! যদিও আগেও এমই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি।
২ এবং ৩ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মনরেগা-সহ অন্যান্য প্রকল্পের বকেয়া আদায়ের দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ধরনা কর্মসূচি (Delhi TMC Dharna)। যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি কৃষি ভবনের সামনেও বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে চলবে ধরনা। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই দিল্লিতে পৌঁছাতে শুরু করবেন দলের নেতা, কর্মী থেকে মনরেগার শ্রমিকরা। তারজন্যও প্রস্তুতি পর্ব প্রায় সেরে ফেলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ শ্রমিকের চিঠি বকেয়া আদায়ের দাবি নিয়ে রওনা হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশ্যে। তার মধ্যে কিছু চিঠি যাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এবং কিছু চিঠি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রীর দফতরে যাবে। তৃণমূলের দাবি, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা এবং আবাস প্রকল্পের অন্তর্গত প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। আর সেই উদ্দেশ্যেই ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে দিল্লি অবরোধে আসতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এই চূড়ান্ত প্রস্তুতির মাঝে নাকি দেখাই মিলছে না কেন্দ্রের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ তথা লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিং কোথায়? তাঁকে খুঁজছেন বাংলার মনরেগার কাজের টাকা না পাওয়া শ্রমিকরা।”
আরও পড়ুন-কাটল না জট, পরিষদীয় মন্ত্রীকে ২ লাইনের উত্তর পাঠালো রাজভবন
কর্মসূচির কারণে দলের নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কদের দিল্লিতে উপস্থিত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পয়লা অক্টোবরের মধ্যে দলের বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, রাজ্যের মন্ত্রী, পুরসভার কাউন্সিলরদের দিল্লি পৌঁছাতে বলা হয়েছে। ২ অক্টোবর সকালে রাজঘাটে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচী শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। মোট ১৫ জন সাংসদদের রাজঘাটে যাওয়ার কথা। দিল্লির কর্মসূচীতে যোগ দিতে আসা নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক এবং অন্যান্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সাংসদদের বাড়িতে। এছাড়াও দুটি হোটেলও বুক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই দিল্লির হ্যালি রোড এবং চাণক্যপুরী দুটি বঙ্গভবনে অন্য বুকিং নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আমলা, আধিকারিকরা বঙ্গভবনগুলিতে থাকবেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।