প্রতিবেদন : পর্যাপ্ত সংখ্যার ইভিএম না থাকার জন্যই রাজ্যের ১১২ টি পুরসভায় একই সঙ্গে ভোটগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণেই এক দফায় নয়, একাধিক দফায় পুরনির্বাচন করাতে চায় কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টে এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হলফনামা দিয়ে এই কথাই জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ওই হলফনামার প্রেক্ষিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা আদালতকে ছাড়াও রাজভবনকে জানিয়েছে। কমিশনের যুক্তি, ১১২টি পুরসভায় একই সঙ্গে ভোট করানোর জন্য প্রয়োজন ৩০,১৭৩ টি ইভিএম। কিন্তু কমিশনের হাতে এই মুহূর্তে আছে কার্যকরি ১৫,৬৮৭টি ইভিএম। এর মধ্যে এম ১ টাইপ ইভিএম রয়েছে ৭৮৩৬টি এবং এম ২ টাইপ রয়েছে ৭৮৫১টি। এই পরিমাণ ইভিএম নিয়ে একসঙ্গে ১১২টি পুরসভায় ভোট করানো সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, কলকাতা হাওড়ায় একই দিনে পুরভোট করানোর পরে পরে কয়েকটি পর্যায়ে বাকি পুরসভায় ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। কমিশনের হলফনামা দফায় দফায় ভোট চায় কমিশন। করোনার জন্যই এই প্রস্তাব। ১৯ ডিসেম্বর প্রথম দফার ভােট। ওই দিনই হাওড়াতেও ভোট শুরু করাতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় স্ট্রিট লাইট
কলকাতায় ৮৫% ও হাওড়ায় ৫৫ % শতাংশ টিকাকরণ। এজন্যই এই দুই পুরসভায় আগে ভোট। সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করানোর মত ইভিএম নেই কমিশনের কাছে। স্বভাবতই এক সঙ্কট তৈরি হবে। ১১২টি পুরসভার একসঙ্গে ভোট করতে হলে প্রয়োজন ৩০.১৭৩ ইভিএমের প্রয়োজন। যা কমিশনের কাছে নেই। কলকাতা পুরসভার জন্য প্রয়োজন ৭৯৯৯ ইভিএম। ভোটকেন্দ্র হবে ৪৭০৪। অতিরিক্ত ভোটকেন্দ্র হবে ৯৪১। কমিশনের হাতে ১৫৬৮৭ ইভিএম রয়েছে। এরমধ্যে এম ১ ইভিএম রয়েছে ৭৮৩৬। এম ২ ইভিএম রয়েছে ৭৮৫১। এই ইভিএম দিয়ে একসঙ্গে ১১২ পুরসভার ভোট করা সম্ভব নয়।