প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ অনুযায়ী ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথপর্ব দ্রুত মিটিয়ে ফেলার জন্য সোমবার রাজ্যপালকে চিঠি পঠিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে এই চিঠি পৌঁছেছে রাজভবনে। চিঠিতে সাফ লেখা হয়েছে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে অনুরোধ করতে বলেছেন, ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন বেশ কিছু দিন হল। রীতিমাফিক বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে শপথ পর্ব মিটিয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এই বক্তব্য জানিয়ে রাজভবনে চিঠি গেলেও রাজ্যপালের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। কিন্তু এরই মাঝে সামনে এসেছে আরও চমকপ্রদ একটি তথ্য। জানা গিয়েছে, শপথ গ্রহণের জন্য ২১ সেপ্টেম্বরে সই-করা একটি চিঠি ২২ তারিখ নিমলচন্দ্র রায়কে পাঠানো হয়েছে। যা আদতে গিয়ে পৌঁছেছে ২৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার। অথচ চিঠিতে শপথ গ্রহণের দিন হিসেবে লেখা রয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর। এই কাণ্ড দেখে বিস্মিত সকলে। রাজ্যপালের মতো পদমর্যাদায় থেকে কোন আক্কেলে তিনি এই ধরনের গা-জোয়ারি ও হাস্যকর কর্মকাণ্ড করছেন তাতে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিধানসভার রীতি অনুযায়ী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষই।
আরও পড়ুন-ক্রমশ নিঃসঙ্গ হচ্ছে বিজেপি, এবার এনডিএ ছাড়ল এআইএডিএমকে
এক্ষেত্রে পরিষদীয় দফতর ও অধ্যক্ষকে এড়িয়ে গা-জাোয়ারি করে রাজ্যপাল এই শপথ-রাজনীতির পথে হাঁটলেন শুধুমাত্র বিজেপির নির্দেশ পালন করতে। এতে আদতে রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর পদমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে তা বুঝেও এরকম উদ্ভট কাণ্ডকারখানা করেই চলেছেন।