প্রতিবেদন : আরও একটা বছরকে বিদায় দিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাল বিশ্ব। ২০২৩-কে বিদায় দিয়ে যাত্রা শুরু হল ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪-এর। ২০২৪-কে স্বাগত জানাতে রবিবারের সকাল থেকেই সেলিব্রেশন মুডে ছিল তিলোত্তমা। কলকাতার পর্যটনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানগুলিতে ভিড় ছিল নজরকাড়া। আর সন্ধ্যার পর থেকেই সেই ভিড় অভিমুখ বদল করে পার্ক স্ট্রিটের দিকে ঘুরে যায়। বর্ষবরণের রাতে কলকাতা হয়ে ওঠে প্রাণচঞ্চল। রাত যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে উন্মাদনা। নতুনকে স্বাগত জানাতে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভেসে যায় মহানগরী। রবিবার রাতের পার্ক স্ট্রিট রং-বেরংয়ের আলোকমালায় হয়ে উঠেছিল মোহময়ী।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বড়দিনের উৎসবের রেশ ধরেই ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাল পার্ক স্ট্রিট। আর ভিড় সামলে পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্ত রেখে আরও একবার ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ কলকাতা পুলিশ। মানুষের আনন্দ যাতে মাটি না হয়ে যায় পুলিশ-প্রশাসন নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে নির্ঝঞ্ঝাট আরও একটা উৎসবমুখর দিন উপহার দিয়েছে। সাবধানী পুলিশ নিরাপত্তায় খামতি রাখেনি কোনও। পার্ক স্ট্রিটে আড়াই হাজার পুলিশ নামিয়ে বেষ্টনী তৈরি করা, ছটি জোনে ভাগ করে পুলিশ আধিকারিকদের দায়িত্ব দিয়ে শহরের নিরাপত্তা বলবৎ রাখা— সব কাজে একশোয় একশো। সকাল থেকে সন্ধ্যা ইকো-পার্ক থেকে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া থেকে সায়েন্স সিটি— সর্বত্রই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি। আবার সন্ধ্যা নামতেই পার্ক স্ট্রিটমুখী ভিড় সামলেছে কড়া হাতে। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ থেকে নাকা চেকিং চলেছে সমানে। ওয়াচ টাওয়ার ও বহুতল থেকে দূরবিনে নজরদারিও চালানো হয়েছে। কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা ঘটলেই দক্ষতার সঙ্গে তা সামাল দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-আজ ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী তৃণমূল কংগ্রেসের
পুলিশের বজ্র আঁটুনির মধ্যেই বর্ষবরণের রাতে স্বল্প শীতের আমেজ গায়ে মেখেই বছর শেষের আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করেছে জনতা। শহর ও শহরতলি, এমনকী প্রত্যন্ত জেলা থেকে বহু মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছিলেন পার্ক স্ট্রিটে। বর্ষবরণের মুহূর্তটি বন্ধুবান্ধব, কাছের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন তাঁরা। নির্মল আনন্দের মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে রাখেন মনের মণিকোঠায়। তবে শুধু শহর কলকাতাতেই নয়, বাংলার বিভিন্ন জেলাতেও একইভাবে উন্মাদনায় ভাসতে দেখা গিয়েছে মানুষকে। পাহাড় থেকে সাগর মানুষ আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন এই বিশেষ দিনটিতে। এবার বর্ষবরণেও দেখা গিয়েছে দুই বাংলার মিলনমেলা। ইছামতী নদীতে নৌকাবিহারে মাততে দেখা গিয়েছে এপার-ওপার বাংলার মানুষকে। সব মিলিয়ে নতুন আশা ও নতুন স্বপ্নে এগিয়ে যাওয়ার শপথ নিয়েই নতুন বর্ষ আগমনের সেলিব্রেশনে মেতেছে জনতা।
আরও পড়ুন-শেহবাগের পরেই ওয়ার্নার : গ্রেগ
বাংলা তথা ভারতে নতুন বর্ষকে স্বাগত জামাতে রাত ১২টার প্রতীক্ষায় ছিলেন আমজনতা। ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই নতুন বছরের আগমন ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে আকাশ-বাতাস। তার আগেই কিন্তু নতুন বছরের সেলিব্রেশন সেরে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি। কারণ সেখানে নতুন সূর্য ওঠে আমাদের দেশের অনেক আগে। বিশ্বের প্রথম নিউ ইয়ার সেলিব্রেট করে প্যাসিফিক আইসল্যান্ড অফ টোঙ্গা। তেমনই আমাদের দেশের অরুণাচল প্রদেশের লোহিত জেলার ছোট্ট গ্রাম ডং-এ প্রথম সূর্যোদয় হয়।