প্রতিবেদন : সোমবার থেকে বদলাতে চলেছে আবহাওয়া। দীপাবলি হতে চলেছে দুর্যোগপূর্ণ। আশঙ্কার অশনিসংকেত, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উপকূল এলাকা। প্রভাব পড়বে কলকাতাতেও। তবে ঝোড়ো হাওয়ার থেকে বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি কলকাতা শহরে। আবহাওয়া দফতর আগে থেকেই সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কলকাতায় আঘাত না হানলেও যথেষ্ট আশঙ্কা থাকছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী বিভিন্ন জেলায়। সে-কারণে প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির মোকাবিলায় সর্বোচ্চ মাপের প্রস্তুতি বজায় রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ঘোমটার আড়ালে কেন সিপিএম! গোয়েবেলসীয় কায়দায় সেই মিথ্যাচার
দক্ষিণবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের দায়িত্ব দিয়েছে নবান্ন। পর্যটন সচিব সৌমিত্র মোহনকে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যথাক্রমে বিদ্যালয় শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সচিব বিবেক কুমার, পশ্চিম মেদিনীপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত, হুগলিতে মৎস্য সচিব অবনীন্দ্র সিং এবং হাওড়ায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের সচিব রাজেশ পান্ডেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন-সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বে থাকা সচিবদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তাঁরা বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে জেলা প্রশাসন এবং সুসংহত কন্ট্রোল রুমের মধ্যে যোগাযোগ রাখবেন।
আন্দামান সাগরের নিম্নচাপটি এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন-যখন তিনি ডাকাত কালী
এদিনই আন্দামান সাগর থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস। রবিবার এটি অতি-গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিক বরাবর এগোবে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এরপর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এই ঘূর্ণিঝড়। মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্ট্রমে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল বরাবর সমুদ্রে অবস্থান করবে মঙ্গলবার। বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকা দিয়ে এটি স্থলভাগে ঢুকতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।