একদিকে আমি, অন্যদিকে আপনি, কে ঠিক, কে ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে, মোদিজিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন নেত্রী

বাংলা সম্বন্ধে বলতে আসেন, আমি দেশ সম্বন্ধে কম জানি না। একদিন আসুন না মোদিজি! কে ঠিক, কে ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে। রাজি আছেন?

Must read

প্রতিবেদন : বাংলা সম্বন্ধে বলতে আসেন, আমি দেশ সম্বন্ধে কম জানি না। একদিন আসুন না মোদিজি! কে ঠিক, কে ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে। রাজি আছেন? চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করবেন? আমি কিন্তু রাজি। বৃহস্পতিবার কলকাতা উত্তরের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বউবাজারের জনসভা থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি মোদিবাবু মহাশয়কে আপনি-আজ্ঞে করে বলছি, প্লিজ, আসুন। আপনি জায়গা ঠিক করুন। আমাকে যেখানে যেতে বলবেন, আমি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। একটা মঞ্চ তৈরি করুন। সেখানেই কে ঠিক, কে ভুল নির্ধারণ হয়ে যাবে।
কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনার সঙ্গে টেলি প্রম্পটার থাকুক। প্রয়োজনে ১০ জন অফিসারকেও ডেকে নিতে পারেন। আমি একা থাকব। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করবেন, আপনি উত্তর দেবেন— আমিও উত্তর দেব। আপনি বাংলা সম্বন্ধে বলতে আসছেন, আমি কিন্তু দেশ সম্বন্ধে কম জানি না। আপনি মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন পার্টির জন্য। আর আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে দুবার রেলমন্ত্রী ছিলাম, কয়লামন্ত্রী ছিলাম, যুব-ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম, মহিলা ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী ছিলাম। আমি সাত-সাতবার এমপি ছিলাম। আমি দেশটাকে আপনার থেকে বেশি চিনি। আমি হিংসা করে রাজনীতিতে আসিনি।

আরও পড়ুন-ফাইনালের মহড়া শুরু রাসেলদের ট্রফিতে চোখ, সতর্ক কেকেআর

তিনি বলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর কলকাতায় তখন সব পালিয়ে গিয়েছিল। আমি সমস্ত কমিউনিটিকে ফেস করেছি। সবাই যখন ঘুমিয়ে ছিল, আমি তখন ঘুরে বেড়াতাম। তখন যুব রাজনীতি করতাম। ইয়ুথ স্পোর্টস মিনিস্টার ছিলাম। বাড়িতে খাবারের প্যাকেট তৈরি করতাম রিলিফের জন্য। একদিন মাদারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। মাদার আমাকে দেখে অবাক। এরপর তিনি বলেন, যে যত পারেন গালাগালি দিন, আমার গায়ে আর ফোস্কা পড়বে না। ওসব আর ম্যটার করে না। আমাকে ম্যাটার করে মানুষ। মানুষ যদি আমাকে ভুল বোঝে আমি সবথেকে দুঃখ পাব সেদিন। আমি কাউকে ভয় পাই না, শুধু মানুষকে ভয় পাই। মানুষ যেদিন বলবে আমি সেদিন চলে যাব মাথা নত করে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীকে নিশানায় তিনি আরও বলেন, আমরা কখনও বলতে পারি জগন্নাথদেবও কাউকে গুরু মানতেন। যদি সত্যিই জগন্নাথদেব কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে তাঁর গুরু মেনে থাকেন, তাঁর নামে একটা মন্দির করে দেওয়া উচিত। মন্দির করে দিলে তাঁর একটা ফোটোও থাকবে। সেখানে ফুল, তুলসী, চন্দনও দেওয়া হবে। ভোগ রান্নাও হবে। আমরা দেবতা মানি কাদের? দেব-দেবতা বলে হয় না, কাজের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়।

Latest article