প্রতিবেদন : ২০০৫। ১৮ বছর আগে কোবরা পোস্টের দুর্যোধন স্টিং অপারেশনে ১০ সাংসদ ফেঁসেছিলেন। অধিকাংশই ছিলেন বিজেপির। অভিযোগ ছিল, অর্থের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সংস্থার প্রচার করা। তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ২৩ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে সাংসদদের সদস্য পদ খারিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলে প্রতিবাদে মুখর হয় বিজেপি। ওয়াক আউট করে। বিক্ষোভ দেখায়। বিরোধী দলনেতা লালকৃষ্ণ আদবানি (Lal Krishna Advani) এই সিদ্ধান্তকে ‘মৃত্যুদণ্ড’-র সঙ্গে তুলনা করে বলেছিলেন ক্যাঙারু সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয়, বিজেপির আর এক সাংসদ বিজয় মালহোত্রা ভিন্ন মতের নোট দিয়ে জানিয়েছিলেন, সাংসদের সদস্য পদ খারিজের সিদ্ধান্ত এথিক্স কমিটি নিতে পারে না। এটা নিতে পারে একমাত্র আদালতই। এটাই বিজেপির দ্বিচারিতা, ডিগবাজি। সেদিন যে কারণে আদবানি (Lal Krishna Advani) থেকে অন্যান্য নেতারা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার তাদের উত্তরসূরীরাই সেই একই কাণ্ড নির্লজ্জভাবে ঘটালেন। এখানেই শেষ নয়। মহুয়া মৈত্রর ক্ষেত্রে তদন্ত ছাড়াই একপেশে প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৮ বছর আগে কিন্তু ৮ মাস ধরে তদন্ত হয়। তথ্য সংগ্রহ করা হয় ৫৬টি ভিডিও, ৭০টি অডিও টেপ ও ৯০০টি ফোন কল থেকে। আর মহুয়ার ক্ষেত্রে একটিই ফুটেজ সর্বসাকুল্যে, এনডিটিভির। যে চ্যানেলের মালিকানা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। যার বিরুদ্ধে মহুয়া অনৈতিকভাবে সরকার থেকে বরাত পাওয়ার প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন- দু’মাসের মধ্যেই নিয়োগ মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে : সুপ্রিম কোর্ট