কার্যত জরুরি অবস্থা। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে গণতন্ত্রকে বুলডোজ করার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে সংসদে। তৃতীয় দিনও লোকসভা (Lok Sabha) থেকে সাসপেন্ড করা হল বিরোধী দলের ২ সাংসদকে। কার্যত বিরোধীশূন্য কক্ষে অধিবেশন চালাচ্ছে মোদি সরকার। এই নিয়ে গত চারদিন লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ১৪৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। সংসদ হানার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা চাইলেই বিরোধীদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। বিরোধীশূন্য সংসদে একের পর এক জনবিরোধী বিল পাশ করাচ্ছে কেন্দ্র। বুধবার লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হলেন দুই সাংসদ সি থমাস ও এএম আরিফ। শীতকালীন অধিবেশনের বাকি দিনগুলি থাকতে পারবেন না তাঁরা। লোকসভায় রংবোমা হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলেন থমাস ও আরিফ। এই দাবিতে বুধবার ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ ও প্ল্যাকার্ড দেখান তাঁরা। এই ‘অপরাধে’ তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়। সবমিলিয়ে চলতি অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হলেন ১৪৩ জন বিরোধীদলের সাংসদ। চলতি অধিবেশনে শুধুমাত্র লোকসভা (Lok Sabha) থেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন ৯৭ সাংসদ। সংসদীয় ইতিহাসে বেনজির বিরোধীদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বুধবারও গান্ধীমূর্তির সামনে সারবদ্ধ হয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদরা। আওয়াজ ওঠে : গণতন্ত্র বাঁচাও।
আরও পড়ুন- কোর্টের নির্দেশে ‘অযোগ্য’ ট্রাম্প