সে এক সময়ের কথা। মানুষ তখন সবে পৌরাণিক যুগের খোলস ছেড়ে ইতিহাসের যুগে প্রবেশ করেছে। সিন্ধু সভ্যতার মতো নগর সভ্যতা ধংস হয়েছে, যাযাবর আর্যরা ভারতে তাঁদের বৈদিক ভিলেজে উপনিষদের গভীর তত্ত্ব খুঁজে পেয়েছেন। বেদান্ত দর্শন ভারতের নানা অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলগুলো আর্যাবর্ত নামে অভিহিত হচ্ছে। যাযাবর মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে যে ঘর বেঁধেছিল তাই হয়েছিল জনপদ। এখন জনপদ পরিণত হয়েছে মহাজনপদে। ষোলোটি মহাজনপদ এবং সেখানকার পরাক্রমী সম্রাটগণ ভারত শাসন করছে নিজেদের বিক্রমে। এর মধ্যে লিছবিতে ছিল গণতান্ত্রিক শাসন। সিন্ধু সভ্যতার পতন এবং তার পর আর্যদের মূল ধারায় মিশে ভারতের ইতিহাস তৈরি হয়ে উঠতে-উঠতে পেরিয়ে গেল হাজারটা বছর।
আরও পড়ুন-দুইয়েই চোখ সানরাইজার্সের, ঘরের মাঠে পাঞ্জাব কিংস ম্যাচ
হাজার বছর ধরে পথ হাঁটতে হাঁটতে রাজতন্ত্র জোরদার হয়েছে, অস্ত্র হয়েছে আরও ধারালো কিন্তু ধর্মে জমেছে বিস্তর গ্লানি। প্রাচীন ব্রাহ্মণ্য ধর্ম হয়েছে আচারসর্বস্ব আর জাতিভেদ বর্ণ দিয়ে সমাজকে জড়িয়েছে পাপ-পুণ্যের অক্ষ দ্রাঘিমারেখায়। আর সেই কোন যুদ্ধ প্রাঙ্গণে তিনি কথা দিয়েছিলেন যদা যদা হি ধর্মস্য…, যখনই ধর্মের মধ্যে আসবে গ্লানি, তখন তিনি আসবেন ধর্মকে কলুষ-মুক্ত করতে। তাই তিনি এলেন সম্ভবামী যুগে যুগের আশ্বাসকে বিশ্বাসে পরিণত করে।
ভারত-নেপালের সীমান্তে গোরক্ষপুর সোনাউলি বর্ডার পেরিয়ে একঘণ্টার মোটর পথে বিদেশের মাটিতে তাঁর জন্ম। তিনি শাক্যসিংহ, তিনি পালিকা মায়ের নামে গৌতম, তিনি রাজার আদরের দুলাল সিদ্ধার্থ। সেই কপিলাবস্তুর রাজপথ পেরিয়ে আসন্নপ্রসবা মায়াদেবীর পালকি চলেছে পিত্রালয়ের পথে। পথের মধ্যে লুম্বিনী উদ্যানে পালকি থামতেই হল। এক বৈশাখী পূর্ণিমায় তিনি এলেন— উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে। সম্ভবামী যুগে যুগের অমোঘ বাণী সত্য করে আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে জন্ম নিলেন ভগবান বুদ্ধদেব। সাল ছয়শো তেইশ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ না পাঁচশো ছিয়াশি সেটা পণ্ডিতরাই ঠিক করে বলতে পারেন না এখনও!
আরও পড়ুন-বুলেট ট্রেন নিয়ে খোঁচা তৃণমূলের
সন্ন্যাসযোগ জন্ম পত্রিকার গণনায় ছিল বলে রাজকুমার বড় হলেন রাজ-অন্তঃপুরে, বিলাসব্যসনে, দুঃখ-শোক-সীমার বাইরে। সাতাশ বছর পেরিয়ে একবার পেলেন মুক্তির খোলা হাওয়া আর সেদিনই হল ত্যাগের বীজ বপন। জাগল সন্ন্যাসী মন, মনে জাগল জিজ্ঞাসা দুঃখকে অতিক্রম করার। অনন্ত জিজ্ঞাসার পথে নামলেন জ্ঞানের খোঁজে, পিছনে পড়ে রইল সুন্দরী স্ত্রী, শিশুপুত্র, আত্মীয়স্বজন আর রাজপুত্রের বিলাসী জীবন। শুরু হল এক কঠিন অধ্যায়ের আলেখ্য। বৈরাগ্য, কৃচ্ছ্রতার সাধনায় পেলেন সম্যক জ্ঞানের খোঁজ, আলোকিত হলেন, অন্যকে আলোকিত করার বাসনায়। শাক্যসিংহ সিদ্ধার্থ হলেন শাক্যমুনি বুদ্ধ।
ধর্মের ইতিহাসে এল বিপ্লব। নিরাকার ব্রহ্মের চিন্তায় সন্ন্যাসীর বজ্রকঠিন নির্মোক ছেড়ে করুণাঘন বুদ্ধের শরণে এসে মানুষ জানল মজঝিম পন্থা। ঈশ্বর লাভের অলীক কল্পনা নয়, জরা-মৃত্যু-ব্যাধির মতো অলঙ্ঘনীয় ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মেনে মনের দৃঢ়তাকে বজায় রাখাই জীবনের ধর্ম। সোজা স্পষ্ট কথা, মানুষের মুখের ভাষা, রাজন্য পৃষ্ঠপোষকতা, করুণাঘন বুদ্ধের সরল জীবনদর্শন মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। পরবর্তী পাঁচশো বছরে ভারতে বৌদ্ধধর্ম ছড়িয়ে পড়ে গুজবের চেয়েও দ্রুত। রাজানুরাগে বৌদ্ধধর্ম ভারতের প্রধান ধর্ম হয়ে ওঠে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে তিব্বত, চিন, জাপান, থাইল্যান্ড, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা-সহ বিভিন্ন দেশে।
আমরা পশ্চিমি দেশের দ্বারা পিঠ চাপড়ানো ছাড়া কিছুতেই স্বস্তি পাই না। অথচ জ্ঞানের দিক থেকে ইউরোপ যখন লণ্ঠনে তেল ভরছে, ভারতীয়রা তখন পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় তক্ষশীলায় জ্ঞানের এলই়ডি জ্বালাচ্ছে। একটার পর একটা বিশ্ববিদ্যালয়— নালন্দা, ওদন্তপুরী, বিক্রমশীলা। হাজার হাজার প্রাচীন পুঁথি, বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন জ্ঞানের সমাহার। বৌদ্ধসংঘ, মহাবিহারগুলো একেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠে আলোকিত করছে ভারতের ইতিহাস।
আরও পড়ুন-পুষ্টি, অপুষ্টি ও মেয়েরা
বৌদ্ধধর্ম বুদ্ধের জীবদ্দশাতেই বিস্তৃত হতে থাকে। সংঘ বা বৌদ্ধরা যে স্থানে থাকতেন সেখানকার সন্ন্যাসী অর্থাৎ শ্রমণগণ বৌদ্ধধর্মের প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা নেন। সহজ ভাষায় সহজ শিক্ষা। মানুষের মন তখন ব্রাহ্মণ্য ধর্মের জটিলতা, একের পর এক নানা দেবতার নানা পুজো, ভয়ংকর রকমের আচার নিষ্ঠতার নামে কুসংস্কার, পরব্রহ্মের অলীক রূপ কল্পনা ইত্যাদিতে জর্জরিত। মনের শান্তির জন্য ঈশ্বরের ধ্যান করার বদলে পুজোর জটিলতায় মনে বেশি অশান্তি তৈরি হচ্ছিল। এমত পরিস্থিতিতে সহজ ভাষায় ধর্ম আলোচনা, সংযমী জীবনযাত্রা, সংঘের উপর নির্ভরতা, দেবতা নয় জীবনই ঈশ্বর— এই বাস্তব জ্ঞান মানুষকে আকৃষ্ট করল পুরোপুরি। ধর্মাচরণের সঙ্গে শিক্ষা উচ্চবর্ণে আবদ্ধ না থেকে হল সর্বজনীন। এমনকী স্ত্রী, বৈশ্য, শূদ্র ভেদও রইল না। শিক্ষার আলোকে উদ্ভাসিত ভারতে আসা বিদেশি ছাত্রদের সাথে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল বৌদ্ধধর্ম।
বুদ্ধদেবের মৃত্যুর পর বৌদ্ধধর্মে এল ভাগ। প্রথমে পুজো হতে লাগল বুদ্ধদেবের বিভিন্ন রূপ— কখনও তিনি করুণাময় তথাগত, অবলোকন করে দেখছেন সবার যাতে মুক্তি হয় তাতেই তিনি অবলোকিতেশ্বর, জ্ঞানী বুদ্ধ মঞ্জুশ্রী, জ্ঞানের গভীরতাময় অমিতাভ বুদ্ধ, আগামীতে ভবিষ্য বুদ্ধ বা মৈত্রেয় বুদ্ধ। এর পর এল প্রজ্ঞাপারমিতা। প্রজ্ঞাপারমিতা কথাটির মহাযান পন্থীয় বৌদ্ধধর্মের মতে অর্থ হল ‘জ্ঞানের পরিপূর্ণতা’। প্রজ্ঞাপারমিতা নিখুঁতভাবে বাস্তবতাকে খোঁজার পথটিকে বোঝায়, সঙ্গে একটি সূত্রকে বোঝায়। সেই পূর্ণ আধারে দেবিত্ব আরোপ হয়ে কল্পনায় এল তাঁর মূর্তি। ব্যক্তি পুজোর পাশে বৌদ্ধধর্মে এল মূর্তিপুজো, ঈশ্বরের অস্তিত্বের বিশ্বাস। সাধারণের ধর্ম আবার ফিরল প্রচলিত পথে।
আরও পড়ুন-অধীরকে খাড়্গের কড়া বার্তা, জোট-ধর্ম পালন করুন নইলে দলের বাইরে যান
বুদ্ধের মৃত্যুর পর উপাসনা-পদ্ধতি নিয়ে দ্বন্দ্বের ফলে বৌদ্ধধর্মের মধ্যে এল বিভাগ। থেরবাদ, মহাজান এবং বজ্রযান শাখায় ভাগ হয়ে গেল ধর্ম। প্রাচীনপন্থী, রক্ষণশীল সম্প্রদায় সন্ন্যাস এবং কঠোর ত্যাগ নীতি নিয়ে হলেন হীনজান। নব্যপন্থায় মহাজান এল অন্যের দুঃখ ঘোচানো ও সমবেদনা জানিয়ে গৃহের মধ্যেই ধর্মপালন করার লক্ষ্যে। বজ্রজান তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের মন্ত্রযানের সঙ্গে মহাসুখবাদের সংযোগের ফলে উদ্ভূত এক মতবাদ বাংলার সমতট অঞ্চলে বিশেষ প্রসার লাভ করেছিল। বজ্রযানমতে নির্বাণের পর শূন্য, বিজ্ঞান ও মহাসুখ লাভ হয়। চিত্তের যে পরমানন্দ ভাব, যে এককেন্দ্রিক ধ্যান, তা-ই বোধিচিত্ত। বোধিচিত্তই বজ্র। কঠোর যোগের দ্বারা ইন্দ্রিয় দমিত হলে চিত্ত বজ্রের ন্যায় দৃঢ় হয়। এ অবস্থায় সাধক বোধিজ্ঞান লাভ করেন। বজ্রকে আশ্রয় করে যে যানে বা পথে নির্বাণ লাভ হয়, তা-ই বজ্রযান।
এই পটভূমিকায় আবার এল ধর্মের গ্লানি। থেরবাদ সম্প্রদায় প্রথমে থের আর থেরি আলাদা সংঘে থাকত। তারপর একই সংঘে আলাদাভাবে। তারপর নিজের চিত্তসংযমের পরীক্ষায় একত্র বাস আর তার ফল কদাচার। বজ্রযান সম্প্রদায়ের তান্ত্রিক আরাধনা। বিবিধ ম কারে ম-ম করা বৌদ্ধধর্মে নতুন ম হল মণ্ডল রচনা। একজোড়া সম্ভোগরত পুরুষ ও মহিলা হবেন চক্রেশ্বর ও চক্রেশ্বরী। তাঁদের ঘিরে চার জোড়া নারী-পুরুষ শারীরিক মিলনরত। পূর্ণতার মাঝে খোঁজ চলল শূন্যতার। যে পথে সনাতন ধর্মে এসেছিল গ্লানি, অধর্মের অভ্যুত্থান সেই একই পথে হেঁটে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ধর্মের কফিনে খানিক ক’টা পেরেক পুঁতে দিল নিঃসন্দেহে।
অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি আবার হল ধর্ম সংস্থাপনার্থায় সম্ভবামী যুগে যুগের সত্য ভাষণ। শঙ্করাচার্য তাঁর বত্রিশ বছরের জীবনেই দেখালেন গ্লানিমুক্ত সনাতন ধর্মের পুনরুদ্ধার। শঙ্কর-ঝড়ে তদানীন্তন কদাচারগ্রস্ত বৌদ্ধধর্ম অনেকটাই হারাল মানুষের সমর্থন, রাজন্যবর্গের পৃষ্ঠপোষকতা। গুপ্তযুগের শেষ দিকের রাজারা বৌদ্ধধর্ম থেকে মুখ ফেরালেন হিন্দুত্বের দিকে। যেমন শশাঙ্ক শৈব, মহীপাল শাক্ত। বৌদ্ধ ধর্ম তার গৌরবোজ্জ্বল সময় পেরিয়ে এসে পড়ল অস্তিত্ব সংকটের সন্ধিক্ষণে।
আরও পড়ুন-মোদিবাবুরা জিতছেন না শাহের কথায় স্পষ্ট : নেত্রী
সময়ের দৃষ্টিকোণে মুসলিম-অভ্যুদয় বরাবর এক ধ্বংসাত্মক ইতিহাস রচনা করেছে ভারতে। দ্রুত সংখ্যা বৃদ্ধি, আগ্রাসী মনোভাব, নিষ্ঠুর মানসিকতা তাদের বিস্তারের পথ সুগম করে। বারো শতকে বক্তিয়ার খিলজির বাংলা আক্রমণ ভারতের সব দিকে এক পতনের ইতিহাস লেখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়, বৌদ্ধবিহারগুলি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। শোনা যায় দশলাখ পুঁথি-সহ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছয় মাস ধরে জ্বলেছিল— সঙ্গে জ্বলেছিল প্রাচীন ভারতের গৌরবময় শিক্ষার ইতিহাস। আগ্রাসী তুর্কি সৈন্যরা আপাত-শান্ত বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার চালায়। প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে বৌদ্ধ পালিয়ে যায় হিমালয় পাহাড়ের দিকে বা পাহাড় টপকে অন্য দেশে। কেউ কেউ দামি পুঁথি কিছু নিয়ে পাহাড় পেরিয়ে তিব্বত পর্যন্ত চলে যেতে সক্ষম হয়। বাকিরা ইসলামে রূপান্তরিত হয়। যেহেতু বৌদ্ধরা মস্তকমুণ্ডিত, ইসলাম ধর্মে এসে তাদের ন্যাড়া-নেড়ির দল বলে সূচিত করা হত। কালক্রমে ইতিহাস চাপা পড়ে গেছে, কথা রয়ে গেছে। আজও তাচ্ছিল্য করে মুসলমানদের নেড়ে বলা হয়। পাহাড়ে ছাড়া মোটামুটি ভাবে ভারত থেকে বৌদ্ধধর্ম প্রায় হারিয়ে যায়। বর্তমান ভারতে মাত্র সাত সহস্রংশ জনগোষ্ঠী বৌদ্ধ। মহাবোধি সোসাইটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-চারধাম যাত্রায় ৫ দিনে মৃত ১১, বন্ধ ভিআইপি দর্শন, রিলস বানানোর ক্ষেত্রে কড়া সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
বৌদ্ধ যতটা ধর্ম তার চেয়ে বেশি ছিল বৌদ্ধদর্শন। বেদান্ত দর্শনের অ্যাবস্ট্রাক্ট ব্রহ্মের বদলে, বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের শরণে আসা সাধারণের কাছে অনেক সহজ ছিল। কঠিন সংস্কৃতের চেয়ে পালি ছিল লোকের মুখের ভাষা। আটটি সুপথ দশটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে জীবনের চারটি আর্যসত্যকে মেনে নিলে অনায়াসে মেলে মুক্তি। ঈশ্বর, প্রার্থনা, আত্মা, পরলোক, পুজো— এ-সবের ঠাঁই নেই বৌদ্ধদর্শনে। জীবনযাপন এবং কর্ম মানুষকে আত্মবিশ্বাস জাগায়, মুক্তির পথে পৌঁছতে তার কোনও দেবতার বরদান লাগে না। বৌদ্ধ যতদিন দর্শন ছিল ততদিন ভারতে তার প্রভাব ছিল ব্যাপক। বুদ্ধদেবের ভাবনা পেরিয়ে বৌদ্ধদর্শন যেদিন থেকে বৌদ্ধধর্মে পরিণত হল, সেদিন থেকেই তার পতনের ইতিহাস লেখা শুরু হল। রাজন্য পৃষ্ঠপোষকতা হারাল। সর্বশেষে তুর্কি আক্রমণে ‘স্তূপপদমূলে নীরবে নিভৃতে নিবিল চকিতে শেষ আরতির শিখা’।